কেন হয় ডাবল চিন?
ডাক্তারি পরিভাষায় ডাবল চিনকে বলা হয় সাবমেন্টাল ফ্যাট। এটা তখনই তৈরি হয় যখন বাড়তি মেদ থুতনির নীচে এবং ঘাড়ের চারপাশে জমা হয়। বেশিরভাগ সময়ে ওজন বাড়লে এই সমস্যা দেখা যায়। ডাবল চিন হলে মুখ অনেক ভরাট দেখায়। রূপচর্চার পরিপ্রেক্ষিতে দেখলে ডাবল চিন কেউই পছন্দ করেন না। কারণ প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী ডাবল চিন থাকলে দেখতে খারাপ লাগে। আর অন্য ভাবে দেখলে বলতে হয় যে কারও যদি ডাবল চিন থাকে তাহলে তাঁর ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। সেটাও শরীরের পক্ষে খুব ভাল নয়।
advertisement
আরও পড়ুন- রাজ্যে প্রথম মেট্রো কোচ তৈরির কারখানা, কোচ যাবে পুণে ও বেঙ্গালুরুর জন্য
বল এক্সারসাইজ
একটা ছোট্ট টেনিস বা ক্রিকেট বল দিয়ে এই এক্সারসাইজ করা যায়। বলটি থুতনির নীচে রেখে সেখানে চাপ দিতে হবে। ২৫ থেকে ৩০ মিনিট এই এক্সারসাইজ করতে হবে। একটা ৯-১০ ইঞ্চি বল নিয়ে এই এক্সারসাইজ করা যেতে পারে।
জিভের এক্সারসাইজ
এখানে কাজে লাগাতে হবে জিভের পেশিকে। জিভ গুটিয়ে নিয়ে সামনে স্ট্রেচ করতে হবে। তারপর ডাইনে বাঁয়ে ঘোরাতে হবে এবং জিভ দিয়ে নাক ধরার চেষ্টা করতে হবে।
চিউইং গাম এক্সারসাইজ
শুনতে অদ্ভুত লাগলেও চিউইং গাম চিবানো সবচেয়ে ভাল এক্সারসাইজ। ক্রমাগত গাম চিবোতে থাকলে মুখ এবং থুতনির পেশি ওঠানামা করে ফলে থুতনির মেদ কমে যায়।
আরও পড়ুন- পার্থকে আমি ছাড়ব না, তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে বলেছিলেন ধনখড়, প্রকাশ তৃণমূলের দলীয় মুখপত্রে
উ ও ই য়ের উচ্চারণ
ঠোঁট সরু করে উ এবং ই উচ্চারণ করতে হবে। একটু ছড়িয়ে বা বলা যায় জোর দিয়ে এই উচ্চারণ করার চেষ্টা করতে হবে, যাতে গাল এবং থুতনির পেশিতে টান পড়ে। এটা অত্যন্ত সহজ একটি ব্যায়াম। যা দিনে রাতে যে কোনও সময় করা যায়।
ভুরুর এক্সারসাইজ
দুই আঙুল দুই ভুরু যেখানে শুরু হয়েছে সেখানে রাখতে হবে।অল্প করে চাপ দিতে হবে এবং ভুরু উপরে তুলতে হবে।
ফেস লিফট
মুখ হাঁ করে নাকের পাটা ফোলাতে হবে। দশ সেকেন্ড করে এই এক্সারসাইজ করতে হবে।
হাসির এক্সারসাইজ
পূর্ণ হাসিও কিন্তু একটা ভালো এক্সারসাইজ। তাই হাসি বন্ধ করলে চলবে না।
কপালের এক্সারসাইজ
হাতের তালু দিয়ে চেপে ভুরু তুলতে হবে। এমন ভাবে তুলতে হবে যেন কেউ চমকে গিয়েছে বা রেগে গিয়েছে। এতে কপালে বলিরেখা পড়বে কম।
মুখের এক্সারসাইজ
দুটো ঠোঁট চিপে মাছের মতো করে সেটা ডান ও বাঁয়ে বেঁকাতে হবে।
ডাবল চিন এক্সারসাইজ
মুখ সোজা রেখে নীচের চোয়াল সামনে এগিয়ে আনতে হবে। এটা দশ সেকেন্ড করতে হবে।