এই প্রসঙ্গে ডাক্তার Alice Lu-Culligan এবং Dr Randi Hutter Epstein একটি প্রতিবেদনে লিখেছেন, "ভ্যাকসিনের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই পিরিয়ডসের। এবং ক্ষতিকারক নয়।" পিরিয়ডসের সময় মেয়েদের ইমিউনিটি সামান্য কমে যায়। এই সময় ভ্যাকসিন নিলে দুর্বল মনে হতে পারে। কিন্তু তার সঙ্গে শারীরিক ক্ষতি হওয়ার কিছু নেই। কোভিড ভ্যাকসিন কোনওভাবেই মহিলাদের পিরিয়ডসে কে প্রভাবিত করে না। যদি কারও এমন মনে হয়ে থাকে তবে, তার কারণ অন্য ভ্যাকসিন নয়। প্রসঙ্গত পিরিয়ড শুরু বা শেষের পাঁচ দিন আগে বা পরে ভ্যাকসিন নিন তা হলে দুর্বল বোধ করবেন না। আর এতে কোনও ভাবেই মহিলাদের ইমিউনিটি নষ্ট হচ্ছে না। অযথা গুজবে কান দেবেন না।
advertisement
পিরিয়ডস ও ভ্যাকসিন নিয়ে ছড়ানো এই গুজব নিয়ে মুখ খুলেছেন ডাক্তার মুঞ্জল ভি কাপাডিয়া। তিনি ট্যুইটারে হোয়াটসঅ্যাপে ছড়ানো পোস্টি শেয়ার করে যথাযথ বিশ্লেষণ করে লেখেন , গুজব ছড়াবেন না। পিরিয়ডসের সঙ্গে ভ্যাকসিনের কোনও যোগ নেই। কোনও ভাবেই ভ্যাকসিন পিরিয়ডসকে প্রভাবিত করে না। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন নিন।
আরও এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী ট্যুইটারে লেখেন, "আমি ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নেওয়ার পর কোভিডে আক্রান্ত হই। কারণ আমি সারাদিন কোভিড পেশেন্টদের মধ্যে থাকি। কিন্তু মাত্র সাত দিনে আমি সুস্থ হয়ে গিয়েছি। এবং পিরিয়ডসেও কোনও প্রভাব পড়েনি। তাই ভ্যাকসিন নিন।
আরও এক ডক্টর ইউভি তাঁর ইসন্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে ভিডিও বানিয়ে এই প্রশ্নের জবাব দেন। এবং সকলকে বোঝান পিরিয়ডসের সঙ্গে কোনও যোগ নেই ভ্যাকসিনের। যদি কারও অতিরিক্ত ব্যথা হচ্ছে তবে তাঁর কারণ অন্য।
কোকিলা বেন হাসপাতালের ডাক্তার বৈশালী জোশি একটি সাক্ষাৎকারে জানান, " যে ভ্যাকসিনে কোনওভাবেই পিরিয়ডসকে প্রভাবিত করে না।" অতএব সোশ্যাল মিডিয়ার গুজবে কান না দিয়ে ১৮ বছরের উপরের সব মহিলারাই দ্রুত কোভিড ভ্যাকসিন নিতে পারেন। কারণ এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন একমাত্র ভরসা।