TRENDING:

Heart Attack: ইসিজি করিয়েই নিশ্চিন্ত? তার পরেও হানা দিতে পারে হার্ট অ্যাটাক, বাঁচতে করান এই কয়েকটি পরীক্ষা

Last Updated:

চিকিৎসকরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে কমবয়সিদের হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতন হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
গত ২৭ জুন আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় কাঁটা লাগা গার্ল নামে খ্যাত অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালার৷ কড়া নিয়মের অনুশাসনে থেকেও মাত্র ৪২ বছর বয়সে তাঁর এই মৃত্যুতে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ৷
প্রতীকী ছবি৷
প্রতীকী ছবি৷
advertisement

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, খালি পেটে অ্যান্টি এজিং ইঞ্জেকশন নেওয়ার ফলেই রক্তচাপ কমে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী৷ একা শেফালি জারিওয়ালা নয়, কম বয়সিদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা দিনে দিনে উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে৷

চিকিৎসকরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে কমবয়সিদের হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতন হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি৷ কোন কোন উপসর্গ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়, সেটাও জানা প্রয়োজন৷

advertisement

হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রাজীব বশিষ্ঠ জানিয়েছেন, সবসময় ইসিজি করলেই হৃদযন্ত্রের সব সমস্যা বা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা ধরা পড়ে না৷ তার জন্য বিশেষ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা প্রয়োজন৷

ওই চিকিৎসকই জানিয়েছেন, শুধুমাত্র ভারতেই সবধরনের মৃত্যুর মধ্যে ২৮ শতাংশই হয় হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে৷ রাজীব বশিষ্ঠের কথায়, হৃদযন্ত্রের প্রাথমিক সমস্যাগুলি চিহ্নিত করার জন্য ইসিজি করা যেতেই পারে৷ হৃদস্পন্দনে কোনও অস্বাভাবিকতা আছে কি না, অতীতে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কি না, ইসিজি-তে তাও ধরা পড়ে৷

advertisement

তবে ওই চিকিৎসক সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ভারতে কমবয়সিদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম বড় কারণই হল রোগ সম্পর্কে ভুল ধারণা৷ তাঁর কথায়, ইসিজি রিপোর্ট ঠিক এলেই অনেকে নিশ্চিন্ত হয়ে যান৷ তাঁরা আর অন্য পরীক্ষাগুলি করাতে চান না৷ কিন্তু ইসিজি রিপোর্ট ঠিক আসা মানেই হৃদযন্ত্র ঠিকঠাক কাজ করছে, এই ধারণা ভুল৷ কম বয়সি যাঁরা বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেস নিয়ে কাজ করেন, জীবনযাপনের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয় অথবা হৃদরোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে, তাঁদের অবশ্যই হৃদযন্ত্রের প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা করা উচিত৷

advertisement

ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, ইসিজি কখনওই হৃদযন্ত্রের ভিতরে থাকা শিরাগুলির মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা আছে কি না, অথবা ধমণীগুলিতে কোনও ধরনের ব্লকেজ আছে কি না তা ধরতে পারে না৷ সেই কারণেই ইসিজি বাদে আরও কিছু পরীক্ষা বছরে অন্তত একবার করানো উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছেন ওই চিকিৎসক৷ সেগুলি হল-

১. লিপিড প্রোফাইল

২. খালি পেটে ব্লাড সুগার পরীক্ষা অথবা HbA1c

advertisement

৩. রক্তচাপের উপরে নজরদারি

৪. বিএমআই/ওয়েস্ট সার্কামফারেন্স মেজারমেন্ট

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
​'শুভ বিজয়া' সন্দেশ স্পেশালে মন মজেছে জনতার! বর্ধমানের মিষ্টির দোকানে ভিড়
আরও দেখুন

৫. এ ছাড়াও ইকোকার্ডিওগ্রাম অথবা স্ট্রেস টেস্ট করা উচিত৷ বিশেষত যাঁদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে অথবা বুকে ব্যথার মতো উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের এই পরীক্ষা করা উচিত৷

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Heart Attack: ইসিজি করিয়েই নিশ্চিন্ত? তার পরেও হানা দিতে পারে হার্ট অ্যাটাক, বাঁচতে করান এই কয়েকটি পরীক্ষা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল