কিন্তু নির্ঝঞ্ঝাট এই প্রেশার কুকারও যে শরীরের পক্ষে ভয়ঙ্কর ক্ষতিকারক হতে পারে, এমন আশঙ্কার কথা হয়তো কেউ কল্পনাতেও আনবেন না৷ সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে করা একটি পোস্টে এই আশঙ্কার কথাই তুলে ধরেছেন অর্থোপেডিক সার্জন এবং স্পোর্টস মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মনন ভোরা৷ ওই পোস্টে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, বেশ কয়েক বছর পুরনো হয়ে গেলেই প্রেশার কুকার বাতিল করে দেওয়া উচিত৷ ওই চিকিৎসকের এই দাবি ঘিরে সমাজমাধ্যমে জোর চর্চা এবং বিতর্ক শুরু হয়েছে৷
advertisement
কেন পুরনো প্রেশার কুকার স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক?
সমাজমাধ্যমে করা ওই পোস্টে চিকিৎসক মনন ভোরা দাবি করেছেন, প্রেশার কুকার পুরনো হয়ে গেলে তার ভিতর থেকে ছোট ছোট শিসার কুচি খাবারের মধ্যে মিশতে শুরু করে৷ শিসা একবার শরীরে ঢুকে গেলে তা সহজে শরীর থেকে বেরোয় না৷ বরং রক্ত, হাড়, মস্তিষ্কের ভিতরেই তা জমতে শুরু করে৷
নিঃশব্দে শরীরের ভিতরে এ ভাবে শিসা জমতে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে শরীরের বড় ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়৷ শরীরে শিসা জমতে থাকলে দ্রুত ক্লান্তি গ্রাস করে, স্নায়ুতন্ত্রের উপরে প্রভাব পড়ে, স্মৃতিভ্রম হয় এমন কি মেজাজও খিটখিটে হয়ে যেতে পারে৷
শিশুদের জন্যও শরীরে শিসা জমা খুবই ক্ষতিকারক৷ শরীরে শিসার বিপজ্জনক উপস্থিতি শিশুদের মস্তিষ্ককের কাজকে দুর্বল করে দেয়৷ তাদের বুদ্ধিমত্তা কমে যেতে পারে৷ তাই বাইরে থেকে দেখতে ঠিকঠাক লাগলেও পুরনো প্রেশার কুকার আদতে বড়সড় ক্ষতি করে দিচ্ছে বলেই দাবি করেছেন ওই চিকিৎসক৷
কী দেখে বুঝবেন যে প্রেশার কুকার বদলানো উচিত?
প্রেশার কুকার দশ বছর পুরনো হলেই তা বদলে ফেলা উচিত৷
প্রেশার কুকারের গায়ে আঁচড়, কালো ছোপ অথবা ভিতরের দিকে রং চটে গেলেই বুঝতে হবে সেটি বাতিল করার সময় এসে গিয়েছে৷
প্রেশার কুকারের লিড বা হুইসেলের জায়গাটি ঢিলে হয়ে গেলেই বুঝতে হবে সেটি আর ব্যবহারের জন্য নিরাপদ নয়৷
প্রেশার কুকারে তৈরি খাবারের স্বাদ ধাতব লাগলেই সেটিকে বড় বিপদসঙ্কেত হিসেবেই ধরে নিতে হবে৷
ওই চিকিৎসক গত ২২ অগাস্ট এই পোস্টটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছিলেন৷ তার পর থেকে ১ লক্ষেরও বেশি ভিউ হয়েছে এই পোস্টের৷ শেয়ারও হয়েছে প্রচুর৷ সেখানে অনেকেই পুরনো অ্যালুমিনিয়ামের প্রেশার কুকারের বদলে স্টিলের তৈরি প্রেশার কুকার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন৷