নিজের যত্ন—
প্রতিদিনের কাজের ফাঁকে একটা সময় রাখা দরকার যখন নিজের প্রতি খানিকটা যত্ন নেওয়া যাবে। এমন কিছু কাজের জন্য সময় বের করতে হবে যা মানসিক প্রশান্তি, আনন্দ দেবে। খানিকটা বিশ্রামও প্রয়োজন। নিজের শখের কাজ করতে হবে। প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটাতে হবে। প্রয়োজনে ধ্যান অনুশীলন করা যেতে পারে অথবা, ভাল কোনও বই পড়তে হবে। ‘সেল্ফ কেয়ার’-এর অর্থ কোনও ভাবেই স্বার্থপরতা নয়। এটি সামগ্রিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন।
advertisement
সুস্থ সম্পর্ক—
প্রিয়জনের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তোলা দরকার। দৃঢ় সামাজিক সম্পর্ক থাকলে মানসিক ভাবে ভাল থাকা যায়। যা খুবই প্রয়োজন।
স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট—
নানা ভাবে স্টেস ম্যানেজ করা যেতে পারে। নিজের যেটা সব থেকে ভাল লাগবে, সেটাই অভ্যাস করা যেতে পারে। যেমন, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, প্রোগ্রেসিভ মাসল রিল্যাকসেশন, যোগব্যায়াম। এমনকী হাঁটা, জগিং বা সাঁতার কাটার মতো নিয়মিত শরীর চর্চাও মানসিক চাপ কমাতে পারে।
মুম্বইয়ের এশিয়ান হার্ট ইনস্টিটিউের চিকিৎসক, বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অভিজিৎ বোরসে
পর্যাপ্ত ঘুম—
ঘুম খুবই প্রয়োজন। আমাদের শরীর ও মনের যাবতীয় ক্ষতি ঘুমের মাধ্যমে পূরণ করা যায় অনেকটাই। তাই নিয়ম মতো ঘুমোতে হবে। এজন্য একটি আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে নিতে হবে। ঘুমনোর আগে মোবাইল, ল্যাপটপ বা টিভিতে মন দেওয়া যাবে না। ভাল ঘুম মানসিক চাপ কমায়, হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
স্বাস্থ্যকর জীবনধারা—
হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সব থেকে বেশি প্রয়োজন একটি সুস্থ জীবনধারা। এজন্য নিয়মিত খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা দরকার। ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন বা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ একটি সুষম খাদ্য বেছে নিতে হবে। প্যাকেটজাত খাবার, অতিরিক্ত নুন, চিনি খাওয়া যাবে না। নিয়মিত শারীরচর্চা প্রয়োজন।
যদি একার পক্ষে মানসিক চাপ বা উদ্বেগ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব না হয়, তাহলে পেশাদারি সাহায্য নিতে হবে। থেরাপিস্ট বা কাউন্সেলর এবিষয়ে সাহায্য করবেন।