খালি পেটে এক্সারসাইজ নয়
খালিপেটে এক্সারসাইজ করা মানে যেন জ্বালানি ছাড়া গাড়ি চালানো। সেক্ষেত্রে কতটা পরিশ্রম হল কিংবা কতক্ষণ ব্যায়াম হল শরীরে তার কোনও প্রভাবই পড়বে না এবং যদি ঠিকমতো ওয়ার্কআউট শেষ করার মতো এনার্জি না থাকে তাহলে হয় তো আপনিই এনার্জি শেষ হয়ে যাবে এবং সহনশক্তি কম থাকবে৷ পাশাপাশি অতিরিক্ত পরিশ্রম হওয়া এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়ায় ওয়ার্কআউটের পরে ক্লান্তিভাব এবং মাথা ঘোরা দেখা দিতে পারে।
advertisement
চা ও কফি পান নয়
সকালে ঘুম থেকে উঠে চা কিংবা কফি খেলে হয়ে তো হয়েতো বেশ ফুরফুরে লাগে কিন্তু তা আসলে এনার্জি নষ্ট করে দেয়। কারণ চা ও কফি দুটিই ডিহাইড্রেটিং এবং চা ও কফি পানের পরে এক্সারসাইজ করলে আরও বেশি ডিহাইড্রেটেড অনুভব করার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও ওয়ার্কআউটের পরে মাথা ঘুরতে পারে, পেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি আসতে পারে৷
কীভাবে খাবার খাওয়া উচিত
পুষ্টিবিজ্ঞানের মতে, এক্সারসাইজ করার আগে প্লেটভর্তি করে খাওয়ার প্রয়োজন নেই। ওয়ার্কআউটের সময় এনার্জি পাওয়ার জন্য হালকা অথচ স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিযুক্ত খাবার খাওয়াই হল আসল। তাই সকালে সঠিক খাবার বাছাই করলে পেশিতে এনার্জি পৌঁছায়, সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি বার্ন হয় এবং পেশি মচকে যাওয়া কিংবা আঘাত পাওয়ার সমস্যা কমে।
কী খাওয়া যায়
সকালে কিংবা রাতে যখনই এক্সারসাইজ হোক, প্রি-ওয়ার্কআউট মিল হালকা এবং স্বাস্থ্যকর হওয়া উচিত। তবে ওয়ার্কআউটের একেবারে আগে খেলেও অস্বস্তি হতে পারে এবং ঘুম পেতে পারে। সেক্ষেত্রে ওয়ার্কআউটের ১০-১৫ মিনিট আগে একটি ফল কিংবা এক মুঠো ড্রাই ফ্রুট খাওয়া যায়৷ আবার অল্প খাবার কিংবা স্ন্যাক্সের পরে ৬০ মিনিট অপেক্ষা করে ওয়ার্কআউট করাই ভালো। পাশাপাশি, ভারী খাবার ঠিক মতো হজম হওয়ার জন্য ৯০ মিনিট পরে ওয়ার্কআউট করা উচিত।
ওয়ার্কআউটের পরের খাবার
প্রি-ওয়ার্কআউট মিলের মতো, ওয়ার্কআউটের পরের খাবারও ঠিকমতো খেতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট খেলে পেশির মেরামতিতে সাহায্য হয় এবং শরীরে এনার্জি আসে। তবে ওয়ার্কআউটের ৩০ মিনিটের পরে যেন খাবার পেটে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে যা পেশি মেরামত ও গঠনে সাহায্য করে।