যাঁরা হাঁপানির শিকার, তাঁদের কিছু সাবধানতা অনুসরণ করতে হবে দীপাবলির বেশ কিছু দিন আগে থেকেই৷ একদিকে আলোর উৎসবের প্রস্তুতি, অন্যদিকে দূষণ থেকে বাঁচার প্রস্তুতি নিতেই হবে৷
আরও পড়ুন : অপ্রস্তুত অবস্থা এড়াতে পেটের মেদ কমাতে চান? আজ থেকেই শুরু করুন এই নিয়মগুলি
তার আগে দেখে নেওয়া যাক কী কী ধরনের সমস্যা এ সময়ে সঙ্গী হয়৷ দীপাবলির পরবর্তী সময়ে অনেকেই অভিযোগ করেন, চোখ ও গলার সংক্রমণের ৷ এছাড়া শুকনো সর্দি এবং জ্বরের সমস্যা তো লেগেই থাকে৷ আতসবাজিতে থাকা বিষাক্ত রাসায়নিক থেকে যে দূষিত কণা এবং গ্যাস বেরিয়ে আসে, তার থেকে ব্রঙ্কাইটিস হয়৷ পাশাপাশি বেড়ে যায় সিওপিডি বা ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ৷ ফলে সব মিলিয়ে, হাঁপানি থাকুক বা না থাকুক, দীপাবলির সময়ে দূষণ থেকে বাঁচতে অল্পবিস্তর সতর্কতা নিতে হবে সকলকেই৷
advertisement
আরও পড়ুন : আমাদের আনন্দ যেন ওদের কষ্টের কারণ না হয়; দীপাবলিতে পোষ্যকে সুরক্ষিত রাখুন এই উপায়ে!
অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস এবং অন্যান্য শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যায় দীপাবলীর বেশ কিছু দিন আগে থেকেই সতর্কতা নিতে হবে৷ যাঁদের সমস্যা আছে, তাঁদের এই সময়ে অযথা বাড়ির বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে৷ যদি একান্তই বেরতে হয়, তাহলে অ্যাজম্যাটিক রোগীদের এন-৯৫ মাস্ক পরতে হবে৷ এর ফলে বায়ুবাহিত কণা আটকে যাবে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত৷ সার্জিক্যাল মাস্ক কিন্তু পরা যাবে না৷
আরও পড়ুন : গয়না ছাড়া আর কোন কোন জিনিস কিনতে পারেন ধনত্রয়োদশীতে
যদি কারও শ্বাসকষ্ট হয়, তাহলে সেই পরিস্থিতিতে সবথেকে সেরা হল ধোয়াঁচ্ছন্ন জায়গা থেকে দূরে সরে যেতে হবে৷ দরজা জানালা বন্ধ এমন কোনও ঘরে বসে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র চালিয়ে দিতে হবে৷ ইনহেলার নিয়েও সমস্যা থেকে রেহাই না পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ৷ হাঁপানিরোগীরা তীব্র পরিবেশ দূষণের এই সময়ে বিরত থাকুন মদ্যপান থেকেও৷