TRENDING:

দীপাবলির মিষ্টিমুখ; রোশনাইয়ের রাতে স্বাদের আলো জ্বালুক হিরণ্যগর্ভ দধিমঞ্জরী!

Last Updated:

বিশ্বজনীন বাঙালি আবার দীপাবলিতে রসগোল্লা, সন্দেশের বদলে অবাঙালিদের মতো সোনপাপড়ি, লাড্ডু খেতে বেশি পছন্দ করে। কিন্তু সৃজনশীলতা কি বাদ থাকতে পারে!

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: মিষ্টি ছাড়া বাঙালি বাঁচতে পারে না কি! আর উৎসব মরশুম পড়লে তো কথাই নেই। একটা সময় ছিল যখন বিজয়া দশমীর জন্য প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে বানানো হত নাড়ু, মোয়া, মুড়কি ইত্যাদি। এখন অবশ্য বেশির ভাগ মানুষই এ সবের জন্য ভরসা করেন কেনা খাবারের উপর। মিষ্টির দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে ভাইফোঁটা পর্যন্ত বাঙালি মিষ্টির দোকানগুলিতে ভিড় এমনই থাকে যে দোকানি পর্যন্ত পৌঁছনোই দায় হয়ে যায়।
দীপাবলির মিষ্টিমুখ
দীপাবলির মিষ্টিমুখ
advertisement

সারা ভারতে যা দীপাবলি, বাঙালির কাছে তা কালীপুজো। কিন্তু বিশ্বজনীন বাঙালি আবার দীপাবলিতে রসগোল্লা, সন্দেশের বদলে অবাঙালিদের মতো সোনপাপড়ি, লাড্ডু খেতে বেশি পছন্দ করে। কিন্তু সৃজনশীলতা কি বাদ রাখতে পারে!

আরও পড়ুন: উৎসব হোক নিরাপদ, বিপদ থেকে বাঁচতে রাতে বাজি পোড়ানোর সময়ে মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম!

দীপাবলিতে তাই এক বিশেষ মিষ্টি তৈরি করে নেওয়া যাক এ দুয়ের মিশেলে। সে মিষ্টির নাম হিরণ্যগর্ভ দধিমঞ্জরী।

advertisement

হিরণ্যগর্ভ দধিমঞ্জরী বানাতে লাগবে খুব সামান্য উপকরণ:

মিষ্টি দই: ৫০০ গ্রাম

কনডেন্সড মিল্ক: ২০০ মিলি

সিঙ্গল ক্রিম: ২০০ মিলি

সোন পাপড়ি: ১০টি

নিকুতি: ১৫টি

প্রক্রিয়া:

একটি নরম কাপড়ে মিষ্টি দই ঢেলে ঝুলিয়ে রাখতে হবে অন্তত এক ঘণ্টা। অতিরিক্ত জল ঝরানো থকথকে দইটিই কাজে লাগবে।

এ বার এই দইটি একটি পাত্রে নিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে, যতক্ষণ না দই সম্পূর্ণ মসৃণ হচ্ছে।

advertisement

এর সঙ্গে যোগ করে দিতে হবে সিঙ্গল ক্রিম এবং কনডেন্সড মিল্ক। ক্রিমের জলীয় অংশ যেন না পড়ে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তা হলে মিশ্রণটি পাতলা হয়ে যেতে পারে।

এই মিশ্রণটিও খুব ভাল ভাবে মেশাতে হবে যাতে কোথাও কোনও অংশে মণ্ড না থাকে।

আলাদা করে চিনি মেশানোর কোনও প্রয়োজন নেই, কারণ মিষ্টি দই আর কনডেন্সড মিল্ক এমনিতেই যথেষ্ট মিষ্টতা আনবে।

advertisement

আরও পড়ুন: 100 কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া! কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টি! ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এ তাণ্ডব শুরু আজ দুপুরেই! থামবে কবে?

এই মিশ্রণটি সরিয়ে রেখে তৈরি করে নিতে হবে বেস। নিজের পছন্দ মতো আকারের বেকিং পাত্রের উপর ভেঙে ভেঙে বসিয়ে দিতে হবে সোনপাপড়ি। একেবারে গুঁড়ো হয়ে গেলে হবে না, আবার খুব শক্ত থাকলেও হবে। হাত দিয়ে একটু চেপে চেপে বসাতে হবে।

advertisement

এরই মধ্যে ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মিনিট পনেরো প্রি-হিট করে নিতে হবে ওভেন।

এ বার বেকিং প্যানে বসিয়ে রাখা সোনপাপড়ির স্তরের উপর ঢেলে দিতে হবে আগে থেকে তৈরি করে রাখা মিষ্টি দইয়ের মিশ্রণটি। আলতো করে পুরো বিষয়টি চেপে দিতে হবে।

১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রায় ৫০ মিনিট বেক করতে দিতে হবে। অল্প আঁচে একটু বেশি সময় ধরে বেক করাই ভাল।

খুব ভাল মতো বেক হয়ে গেলে কেকটি বের করে নিয়ে ঠান্ডা হতে দিতে হবে। এ বার এটি ঢুকিয়ে দিতে হবে রেফ্রিজারেটরে। বেশ ঠান্ডা হয়ে গেলে উপরে ছড়িয়ে দিতে হবে নিকুতি। অনেক মিষ্টির দোকানেই আলাদা করে নিকুতি কিনতে পাওয়া যায়।

এ বার মনের মতো আকারে ছোট ছোট করে কেটে নেওয়া যায়।

আর কী- এ বারের দীপাবলির সন্ধে জমে যাক হিরণ্যগর্ভ দধিমঞ্জরীর স্বাদে!

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
দীপাবলির মিষ্টিমুখ; রোশনাইয়ের রাতে স্বাদের আলো জ্বালুক হিরণ্যগর্ভ দধিমঞ্জরী!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল