১. বাইরে যাওয়া বারণ - পশুচিকিৎসক প্রদীপ রাণার মতে এ দিনটা আর পোষ্যদের বাইরে পায়চারি করাতে নিয়ে যাবেন না। বাইরে গেলে শব্দবাজির দৌরাত্ম্যে ওরা ভয় তো পাবেই, তা ছাড়া গায়ে নিভন্ত বাজি এসে পড়ার আশঙ্কাটাকেও বাদ দেওয়া যায় না।
২. মিষ্টিমুখে নিষেধাজ্ঞা - দীপাবলীর সময়ে আমাদের অনেকের বাড়িতেই নানা রকম মিষ্টি থাকে। ভুলেও পোষ্যকে মিষ্টি খাওয়াবেন না। ওটা ওদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। নিজে যেমন এই নিয়মটা মানবেন, এ ব্যাপারে অতিথিদেরও সতর্ক করে দেবেন, বলছেন পশুচিকিৎসক বিবেক অরোরা!
advertisement
৩. ঘরেই হোক হইচই - ডক্টর অরোরার মতে এ বছর আপনি যেমন কোভিড ১৯-এর জন্য ঘরেই থাকবেন, খুঁজে নেবেন মনোরঞ্জনের উপায়, একই ভাবে ব্যস্ত রাখুন আপনার পোষ্যটিকেও। তার সঙ্গে খেলা করুন, তাকে সময় দিন, দেখবেন সে চারপাশের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে না।
৪. এক শব্দের বদলে অন্য শব্দ - পোষ্যর মনোযোগ ফেরাতে তার পছন্দসই কোন সুদিং মিউজিক চালিয়ে রাখতে পারেন। ডক্টর অরোরার মতে এটাও উপকারে আসে!
৫. আগুন থেকে সাবধান - দীপাবলীতে নিশ্চয়ই প্রদীপ দিয়ে বাড়ি সাজাবেন! শুধু খেয়াল রাখবেন যে আপনার পোষ্যটি যেন প্রদীপের ধারে-কাছে না যায়! দুর্ঘটনা ঘটতে যে বেশি সময় লাগে না, সতর্কতা ডক্টর রাণার!
৬. হাতের কাছে ওষুধ রাখুন - আপনি সতর্ক থাকলেও বাইরের শব্দবাজির দাপটে পোষ্য ভয় পাবেই! সে কথা মাথায় রেখে, পশুচিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ওদের উত্তেজনা কমানোর জন্য কিছু ওষুধ হাতের কাছে রাখুন, যাতে পোষ্যর হৃদযন্ত্রে চাপ না পড়ে, বলছেন ডক্টর অরোরা।
৭. উত্তেজিত হবেন না আপনিও - সব শেষে ডক্টর অরোরার পরামর্শ- বাইরে যতই বাজি ফাটুক, আপনার তাতে উত্তেজিত হলে চলবে না। সে ক্ষেত্রে সেই দুশ্চিন্তার রেশ চারিয়ে যাবে পোষ্যের মনেও।