সবথেকে উদ্বেগর কথা হল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী উগান্ডায় মাতৃত্বকালীন মৃত্যুহার খুবই বেশি৷ প্রতি বছর প্রতি ১ লক্ষ সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় ৪৪০ প্রসূতির মৃত্যু ঘটে৷ অসুরক্ষিত গর্ভপাত, স্থূলতা, প্রসবকালীন রক্তপাত, সংক্রমণ, প্রসবকালীন জটিলতা, ম্যালেরিয়া, ডায়াবেটিস, হেপাটাইটিস এবং ম্যালেরিয়া-সহ একাধিক রোগের কারণে প্রসূতিকালীন মৃত্যু ঘটে৷ ২০২১ সালে উগান্ডায় মেয়েদের গড় আয়ু ছিল ৫৮.৯ বছর৷ ২০০০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৫.৪ বছর বেশি৷
advertisement
স্থানীয় ডাক্তার কিয়িটা ক্রিস্টোফারের কথায় ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে এক সপ্তাহের মধ্যে এই অসুখ সেরে যাওয়ার কথা৷ তবে স্বস্তির কথা এই যে এখনও বান্ডিবুগিও জেলার বাইরে এই সংক্রমণে কথা শোনা যায়নি৷ এই ধরনের উপসর্গের কথা আগেও শোনা গিয়েছে৷ ১৫১৮ খ্রিস্টাব্দে স্ট্রসবার্গে ছড়িয়ে পড়েছিল ‘ডান্সিং প্লেগ’৷ সে বছর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মারাত্মক সক্রিয় ছিল এই রোগ৷
কথিত, জনৈক ফ্রাউ ট্রোফিয়া শহরের পথে আচমকাই নাচতে শুরু করেছিল৷ কোনও গান-বাজনা-সঙ্গত ছাড়াই চলছিল উদ্দাম নাচ৷ ধীরে ধীরা তাঁর মতো আরও অনেকেই নাচতে শুরু করেন৷ ব্যর্থ হয় সকলের থামানোর প্রচেষ্টাও৷ শেষে দেখা গেল, সারা শহরই নাচতে শুরু করেছে৷ এখনও ডিঙ্গা ডিঙ্গা-র উপসর্গ অতটাও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেনি ৫০০ বছর আগের প্লেগের মতো৷
উগান্ডার মাত্র একটি জেলার বাইরে এখনও রোগ ছড়ায়নি৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, মহামারি আটকাতে বা এড়াতে প্রয়োজন সতর্কতা৷ ভারতের ক্ষেত্রে এখনই ডিঙ্গা ডিঙ্গা নিয়ে আতঙ্কের কারণ নেই। তবে অতিমারির প্রকোপ থেকে দূরে থাকতে সতর্ক পদক্ষেপ অবশ্যই প্রয়োজন।