বিগত ১০ বছর ধরে পুষ্টিবিদ হিসেবে কাজ করছেন ডায়েটিশিয়ান সুস্মিতা সিং। তিনি বিশ্বাস করেন যে, একটি সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা আমাদের উন্নত স্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। সেই সঙ্গে তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শও দিয়েছেন, যার মাধ্যমে আমরা সুস্থ থাকতে পারি। তাহলে সেগুলিই দেখে নেওয়া যাক।
তাজা ফল এবং সবুজ শাকসবজি:
advertisement
যতটা সম্ভব তাজা ফল এবং সবুজ শাকসবজি পাতে রাখতে হবে। এতে উপস্থিত ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সবুজ শাক-সবজি বেশি রান্না না করেই খাওয়া উচিত। কারণ বেশি রান্না করা হলে শাকসবজির পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
বীজজাতীয় খাবার:
সকলের খাদ্যতালিকাতেই বাদাম, চিয়া সিডস, সূর্যমুখী বীজ এবং তিলের বীজ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এই সুপারফুডগুলি শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়।
দুগ্ধজাত দ্রব্য:
দুধ, দই এবং পনিরের মতো দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত পাতে রাখতে হবে। তবে সেগুলি বাড়িতে তৈরি করেই খাওয়া ভাল। এতে উপস্থিত প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
সাধারণ এবং হালকা খাবার:
যতটা সম্ভব তৈলাক্ত এবং মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। খাবার হালকা করে রান্না করতে হবে এবং অতিরিক্ত ভাজাভুজি এড়িয়ে চলা আবশ্যক। যতটা সম্ভব তাজা ফলমূল এবং শাকসবজিকে প্রাধান্য দিতে হবে। টাটকা হওয়ার পাশাপাশি এগুলি স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী।
নিয়মিত ব্যায়াম এবং যোগাভ্যাস:
শুধুমাত্র খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলেই হবে না, এর পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম, যোগাভ্যাস আর মেডিটেশনের অবদানও সুস্থ জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি মানসিক চাপ উপশম করতে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
ডায়েটিশিয়ান সুস্মিতা সিং আরও জানান যে, একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা গ্রহণ করা কিন্তু কোনও কঠিন কাজ নয়। শুধু দরকার একটু সচেতনতা, শৃঙ্খলা এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস। নতুন বছরে রেজোলিউশন নিয়ে নিজের স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। সেই সঙ্গে সুষম খাবার খেতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এবং মানসিক শান্তির জন্য মেডিটেশন করতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, স্বাস্থ্যই হল সবচেয়ে বড় সম্পদ এবং তা রক্ষা করা আমাদের অন্যতম বড় দায়িত্ব।