যদিও দীর্ঘদিন ধরেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে এর নিরাময়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। কপিভা-র মূখ্য উদ্ভাবনী আধিকারিক ডা. গোবিন্দরাজন বলেন, ‘প্রায় ৫ হাজার বছর ধরে চিকিৎসার কাজ করছে আয়ুর্বেদ। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি আয়ুর্বেদ পারে মানুষের জীবনযাত্রায় একটা সুসামঞ্জস্য বিধান করতে।’
ডা. গোবিন্দরাজন জানান, আয়ুর্বেদে কম গ্লাইকোসেমিক খাবার, হলুদ বা মেথির মতো মশলার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এগুলি শরীরে গ্লুকোজ ভেঙে দেওয়ার কাজে সাহায্য করে।
advertisement
আরও পড়ুন: রাতেই সেলে ছুটলেন ডাক্তাররা, জেলে কী হল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের? মিলছে বড় খবর
এছাড়া, করলা, কালোজামের মতো ভেষজ হাইপো-গ্লাইকোসেমিক উপাদানে ভরপুর। শুধু তাই নয়, নিয়মিত যোগাভ্যাস একদিকে যেমন অতিরিক্ত ওজন কম করতে সাহায্য করে, তেমনই ধ্যান বা প্রাণায়মের মতো অভ্যাস মানসিক উদ্বেগ কম করতে পারে। মানসিক চাপ বা উদ্বেগ থেকে হাইপার-গ্লাইকোসেমিয়া বাড়িয়ে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতারা সাবধান! খুব শীঘ্র হতে পারে বড় সিদ্ধান্ত, পদ খোয়াতে পারেন অনেকেই
ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট সানজিনা বোসও ডায়াবেটিক রোগীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি প্রয়োজন বলে মনে করেন। তিনি জানান, ডায়াবেটিস ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মানসিক জটিলতা প্রতিরোধের চেষ্টা করা দরকার।
তাঁর দাবি, ‘একটি ডায়াবেটিস নির্ণয় হলেই সকলে ভয় পেয়ে যান। ভবিষ্যৎ কী হবে, দৈনন্দিন জীবন কেমন হবে, তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই একটা নিরাপদ, নিশ্চিন্ত জীবন প্রয়োজন।’
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা শুধু একটি শারীরিক কাজ নয়; এটি শেষ পর্যন্ত একটি মানসিক প্রক্রিয়ায় পরিণত হয়। উদ্বেগ বাড়লে তার প্রভাব শরীরেও পড়ে।
এজন্য প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। এমন জীবনযাত্রার প্রয়োজন যা শরীর ও মনের যত্ন নিতে পারবে সমান ভাবে। সেক্ষেত্রে আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিতে পারে আয়ুর্বেদ।
সুপ্রাচীন এই জ্ঞান, আমাদের মানসিক স্থিরতা এবং শারীরিক সুস্থতাকে পরিচালিত করতে পারে।
