প্রথমে বুঝতে হবে, এই স্কিন ট্যাগ বা ছোট ছোট মাংসপিন্ডগুলো আসলে কী? ত্বক বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকরা বলছেন, ‘ত্বকে গজিয়ে ওঠা এই ছোট মাংসপিন্ডগুলোকে ডাক্তারি পরিভাষায় অ্যাক্রোকর্ডন বলা হয়। এগুলো আকারে ছোট এবং গোল। সাধারণত ঘাড়, অ্যাক্সিলা এবং ইনগুইনাল ভাঁজে এগুলো গজিয়ে ওঠে। তবে ত্বকের যে কোনও জায়গাতেই এটা হতে পারে। ত্বকের রঙের থেকে কিছুটা গাঢ় এই মাংসপিন্ডের ফলে আপাতদৃষ্টিতে শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না। এগুলোর বৃদ্ধিও খুব ধীরে হয়’।
advertisement
ডায়াবেটিসের সতর্কতা চিহ্ন: শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধের কারণে এমন মাংসপিন্ড গজায়। চিকিৎসকরা বলছেন, ‘সাধারণত ঘাড় এবং বগলেই এই ধরনের মাংসপিন্ড গজাতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এর অর্থ হল, শরীর খুব শীগগিরই ডায়াবেটিসের কবলে পড়তে চলেছে। আক্রান্ত হওয়ার বহু আগেই শরীরে এই ধরনের মাংসপিন্ড গজায়। তাই এটাকে ডায়াবেটিসের সতর্কতা চিহ্নও বলা হয়’।
আরও পড়ুন : ঘাড়ে কালো ছোপের জন্য লজ্জা ও অস্বস্তি? ঘরোয়া উপায়ে তুলে ফেলুন সহজেই
অনেক সময় এই মাংসপিন্ডের আশপাশের ত্বক কিছুটা মোটা এবং রঙ কালচে হয়ে যায়। এমন হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সাধারণত যাঁরা স্থূলতায় ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এটা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। তবে ওজন কম হলেও এর হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে এমনটা নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে এমন মাংসপিন্ড দেখে চিনি খাওয়া কমিয়ে কোনও লাভ নেই। বরং চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। ডায়াবেটিস না থাকলে চেক আপ করাতে হবে। প্রাক ডায়াবেটিক হলে ওষুধ খাওয়াই উচিত।
আরও পড়ুন : যৌন সঙ্গমের সময় আশ্লেষ-আদরের প্রেম দংশন বা লভ বাইট কিন্তু চরম ক্ষতিও করতে পারে
চিকিৎসকরা বলছেন, ডায়াবেটিস, স্থূলতা বা প্রি-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে এই ধরনের মাংসপিন্ড গজাতে দেখা যায়। এই রোগীদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, প্রতিদিন ব্যায়াম এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। অনেক সময় জিনগত কারণেও এমনটা হয়। আবার বেসাল সেল কার্সিনোমা বা প্রাথমিক অবস্থার টিউমার থেকে এই ধরনের মাংসপিন্ডকে আলাদা করতেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা করা হলে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রেখে দীর্ঘ স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব।