ডায়াবেটিক ডায়েটের জন্য প্রোটিন, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের সুষম সামঞ্জস্য গুরুত্বপূর্ণ৷ পাশাপাশি মধুমেহ রোগীদের দূরে থাকতে হবে সংযোজিত শর্করা, ট্রান্স ফ্যাট এবং হাই ক্যালোরি খাবার থেকেও ৷ ঐতিহ্যবাহী মশলা এবং হার্বসের ভূমিকাও মধুমেহ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ৷ তার মধ্যে অন্যতম হলুদ (turmeric) ৷
হলুদ বিভিন্ন রূপে ব্যবহার করা হয় ভারতীয় রান্নাবান্নায়৷ বছরের পর বছর ধরে হলুদ হল অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি ভাইরাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণের আধার৷ ফলে সার্বিকভাবে সুস্থ শরীরের জন্য কাঁচা হলুদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ হলুদের মধ্যে কারকিউমিন উপাদান ইনসুলিন মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে৷ ডায়েটে নিয়মিত হলুদ থাকলে মধুমেহ নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধও ভাল কাজ করে৷
advertisement
মধুমেহ রোগীদের ক্ষেত্রে হলুদ-চা খুবই উপকারী৷ খুব সহজেই বাড়িতে তৈরি করা যায় এই চা৷ সারা রাত ধরে হাফ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের হলুদ ভিজিয়ে রাখুন এক গ্লাস জলে৷ ওই জল সকালে খুব ভাল করে ফুটিয়ে নিতে হবে৷ তার পর ছেঁকে পান করে নিতে হবে৷
এ ছাড়া আরও একভাবে ডিটক্স ‘টারমারিক টি’ তৈরি করা যায়৷ সেখানে যোগ হয় আদা ও গোলমরিচের গুণাগুণও৷ মধুমেহ না থাকলে ব্যবহার করতে পারেন মধুও৷
এই দ্বিতীয় উপায়ে ‘ডিটক্স টি’ তৈরির জন্য প্রথমে একটা পাত্রে দু’ কাপ জল ফুটিয়ে নিন৷ সেখানে মিশিয়ে নিন হাফ চামচ হলুদ, হাফ চামচ কুচনো আদা, এক চতুর্থাংশ চামচ ভর্তি গোলমরিচ এবং এক চামচ মধু ৷ সব মিশ্রণ ভাল করে জলের মধ্যে মিশিয়ে ফুটতে দিন ৷ দু’ কাপ জল শুকিয়ে এনে এক কাপ মতো করতে হবে৷ তার পর ছেঁকে নিয়ে ওই পানীয় চা হিসেবে পান করুন৷