এমন খিচুড়িতে গাওয়া ঘি মিশিয়ে নিলে তো কথাই নেই! ঠিক যেন অমৃত! কিন্তু অনেকেই পুজোর দিনে (Durga Puja 2021) খাবারের অভ্যেসে নতুনত্ব আনতে চান। আজ সেই বিষয়েই আলোচনা করব। তাই সন্ধান দেব অন্য ভোগের স্বাদের- সাবুর পোলাও (Sabudana Pulao)। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, এই পোলাওয়ের প্রধান উপকরণই হল- সাবুদানা।
অনেকেই আসলে অষ্টমীর দিন উপোস করেন। আর উপোস করলে সাধারণত সাবুজাতীয় খাবার অথবা ফলমূল খেয়েই থাকতে হয়। তাই একটু মুখ পালটাতে সাবুর পোলাও ট্রাই করা যেতে পারে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, উপোস করে থাকলেও সাবুর পোলাওয়ের মতো সাত্ত্বিক ভোগ দারুণ উপাদেয়। যাই হোক, কথা না-বাড়িয়ে চলে আসা যাক, সাবুর পোলাওয়ের রেসিপিতে।
advertisement
সাবুর পোলাও রেসিপি:
সাবু এমনিতে খুবই হালকা খাবার। খেতে তো ভালোই, সেই সঙ্গে শরীরে প্রচুর এনার্জিও জোগায় সাবু। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং আয়রন রয়েছে। যা শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই উপোসের সময় শরীরকে সতেজ রাখে সাবু। এটা মেটাবলিজম বাড়ায় এবং হজমশক্তিও বাড়াতে সাহায্য করে।
উপকরণ:
১৫০ গ্রাম সাবু দানা
৪০ গ্রাম কাজুবাদাম
২টো মাঝারি আলু
২০ গ্রাম কাঁচা বাদাম
১/২ টেবিল-চামচ গোলমরিচ
১ চা-চামচ সাদা তেল
১ টেবিল-চামচ ঘি
৫০ গ্রাম ধনেপাতা
৭টি কাঁচা লঙ্কা
২ টেবিল-চামচ লেবুর রস
১ চা-চামচ গোটা সরষে
স্বাদমতো লবণ
প্রণালী
প্রথমে সাবুদানাটা ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার জলে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে। ৪-৫ ঘণ্টা ধরে সাবুদানা ভিজতে দেওয়া উচিত।
আলুটা মাঝারি আঁচে রেখে সেদ্ধ করে নিতে হবে। আলু মোটামুটি নরম হয়ে এলে আঁচ বন্ধ করে ঠান্ডা করে নিতে হবে। তবে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে আলুটা বেশি সেদ্ধ যেন না-হয়। ঠান্ডা হলে আলুর খোসা ছাড়িয়ে ডুমো-ডুমো করে কেটে নিতে হবে। এর পর ধনেপাতা এবং লঙ্কা কুচিয়ে রাখতে হবে।
এ বার মাঝারি আঁচে একটা কড়াই বসাতে হবে। কড়াইটা গরম করে তাতে কাঁচা বাদাম দিয়ে শুকনো খোলায় ভেজে তুলতে হবে। এর পর তাতে তেল দিয়ে গরম করতে হবে। তেলটা গরম হলে তার মধ্যে কাজুবাদামগুলি ছেড়ে দিতে হবে। কাজুবাদামটা খানিক ভেজে তুলে রাখতে হবে।
এর পর ওই একই কড়াইয়ে ঘি দিয়ে ঘি-টা গরম করে তার মধ্যে গোটা সরষে ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়নের গন্ধ বেরিয়ে এলে তার মধ্যে কুচিয়ে রাখা লঙ্কা ছেড়ে দিতে হবে। খানিক নাড়াচাড়া করে এ বার কেটে রাখা আলু ঘিয়ের মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে। আলুটা ভাজা হলে লালচে বাদামি রঙের দেখাবে। আলু ভাজা হলে তার মধ্যে সাবুদানা যোগ করতে হবে। নাড়াচাড়া করে এ বার লেবুর রস, গোলমরিচের গুঁড়ো এবং স্বাদমতো লবণ দিয়ে দিতে হবে। পুরোটা মেশানোর পর একটা ঢাকনা দিয়ে কড়াইটা ঢেকে ২-৩ মিনিট রেখে দিতে হবে।
সব শেষে, ঢাকনা খুলে একটা সার্ভিং ট্রে-তে ঢেলে নিতে হবে। তার পর তাতে আগে থেকে ভেজে রাখা বাদাম ও কাজুবাদাম এবং কুচিয়ে রাখা ধনেপাতা ছড়িয়ে দিতে হবে। সাবুর পোলাও রেডি।
অষ্টমীর দুপুরে পরিবেশন করা যায় এই গরম গরম সাবুর পোলাও। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সাত্ত্বিক ভোগের স্বাদেই না হয় জমে যাক এবারের পুজোর আহার!