ekincare-এর অভ্যন্তরীণ ডেটায় একটি স্পষ্ট প্রবণতা দেখা গিয়েছে। তা থেকে জানা যাচ্ছে যে, ৩১ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের মধ্যেই ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশনের প্রকোপ বেশি। শুধু তা-ই নয়, ১৮-র কমবয়সীদের মধ্যেও এই দুই রোগ দেখা যাচ্ছে। সাত জনের মধ্যে এক জন ব্যক্তিই তিরিশ বছর হতে না হতেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর এর পিছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ। এর মধ্যে অন্যতম হল – বসে বসে কাজ বা ডেস্ক জব, ডিজিটাল চাপ, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার ঘাটতি। ekincare-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং চিফ বিজনেস অফিসার ডা. নোয়েল কুটিনহো এই বিষয়ে জরুরি তথ্য ভাগ করে নিচ্ছেন।
advertisement
সমস্যা ব্যক্তিগত, কিন্তু সমাধান হবে সিস্টেমেটিক:
কাজের জায়গাকে পরিবর্তিত হতে হবে। মাঝেমধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা অথবা জিম মেম্বারশিপ অফার করতে হবে কর্মচারীদের। এতে উৎপাদনশীলতা এবং কর্মচারীদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের উন্নতির সংস্কৃতি গড়ে উঠবে। তবে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। মিলেনিয়াল প্রজন্মের পুরুষদের মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার তাগিদ বেড়েছে, Gen Z প্রজন্মের মধ্যেও এই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ওয়েলনেস প্রোগ্রামগুলিতেও পুরুষদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে শুধু এই অংশগ্রহণেই হবে না, দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য প্রবণতার পরিবর্তন না হলে কিন্তু বিষয়টা পর্যাপ্ত হবে না।
কোম্পানিগুলি কী করতে পারে?
১. ইন্টিগ্রেটেড, তথ্য-ভিত্তিক ওয়েলনেস উদ্যোগের মাধ্যমে প্রিভেন্টিভ কেয়ার বিষয়টাকে স্বাভাবিক করতে হবে।
২. জীবনের পর্যায়ের চাপের কথা বিবেচনা করতে হবে— বিবাহিত পুরুষরা অবিবাহিত পুরুষদের তুলনায় ১০ গুণ বেশি চাপের সম্মুখীন হয়ে থাকেন। তবুও এটি খুব কম সুবিধার পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করে।
৩. মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আলোচনা এবং কাঠামোগত সহায়তা প্রদান করার মাধ্যমে মন ভাল রাখার বিষয়টাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
৪. ভারসাম্য বাড়ানোর জন্য উৎপাদনশীলতার মেট্রিক্স পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
পুরুষদের স্বাস্থ্য কর্পোরেট সংস্কৃতির একটি ব্যারোমিটার হয়ে উঠছে। ডেডলাইন, ডিভাইস এবং ডেস্ক জব যদি ৩২ বছর বয়সী কর্মচারীদের দীর্ঘস্থায়ী রোগের দিকে ঠেলে দেয়, তাহলে তাঁদের আশপাশের বিষয়গুলিকে বদলে ফেলতে হবে।