চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন:
· ত্বকের কোষ থেকে উপকারি লিপিড বেরোয়। সাবান এর ক্ষতি করে।
· সাবান ব্যবহারে ত্বকের পিএইচ মান বদলে যেতে পারে। ত্বকের আদর্শ শারীরবৃত্তীয় পিএইচ হল ৫.৫। সাবানে ক্ষারীয় পিএইচ মাত্রা ৯ পর্যন্ত হয়। এটা ক্ষতিকর। ত্বকের উপরের স্তরে এনজাইম কার্যকলাপকে পরিবর্তন করে এটাকে শুষ্ক এবং রুক্ষ করে তোলে।
advertisement
· সাবান ত্বকের উপরের স্তরকে হাইপার-হাইড্রেট করে। এতে ত্বকের বিল্ডিং ব্লক অর্থাৎ কেরাটিনোসাইটের ক্ষতি হয়। এছাড়াও কোষ এবং কোলাজেন ফাইবার ফুলে যায়।
আরও পড়ুন: গ্রিন টি ক্ষতিকারক! অধিক মাত্রায় গ্রিন টি পান করলে মারাত্মক বিপদ হতে পারে, জানুন
· ত্বকে কেরাটিন প্রোটিন তৈরির পরিমাণ কমে যায়। ট্রান্স এপিডার্মাল জলের ক্ষয় সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধি পায়।
এই সমস্ত কারণে ত্বক তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হয়। ফলে ত্বকে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। মুখ ধোয়ার জন্য ৫.৫ পিএইচ মাত্রার লিকুইড ফেস ওয়াশ ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভাল। সাবান ময়লা দূর করে। কিন্তু একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় লিপিডের বাধাও তুলে নেয়। অন্য দিকে, ফেস ওয়াশ ময়লা দূর করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর তেল এবং ত্বকের পিএইচ মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে।
আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল বাড়ছে? ওজন কমাতে চান? এই ফলের পাতা এভাবে ব্যবহার করুন, চমকপ্রদ উপকার
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, ত্বকে দূষণকারী উপাদান, মেকআপ, তেল এবং গ্রাইম তৈরি হয়। প্রতিদিন দু'বার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুলে যাবতীয় ময়লা দূর হয়। অতিরিক্ত সাবান ব্যবহারের ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে নানা সমস্যা দেখা যায়।
ত্বকের স্বাস্থ্য এবং প্রতিরক্ষামূলক স্তর বজায় রাখতে ফেস ওয়াশে ময়েশ্চারাইজিং উপাদান আছে কি না সেটাও দেখে নিতে হয়। বেশিরভাগ সাবানে এই সব উপাদানগুলো থাকে না। ফলে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হয়। তাই পরের বার মুখ ধোয়ার জন্য সাবান বা ফেস ওয়াশ কেনার সময় সতর্ক থাকতে হবে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)