নিউরো সার্জন ডা. বিবেক রাজ জানান, সাধারণত, দুই ধরনের স্ট্রোক (প্যারালাইসিস) হয়ে থাকে। প্রথম ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ভিতর রক্তনালীতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, একে প্যারালাইসিস অ্যাটাক বলে।
দ্বিতীয় ক্ষেত্রে, মস্তিষ্কের রক্তনালী ফেটে যায়, যাকে ব্রেন হেমারেজ বলে। শীতের সময় এই দুই প্রকার সমস্যাই দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, ভুল খাদ্যাভ্যাস এবং অনিয়মিত দৈনন্দিন রুটিনের কারণে আদকাল তরুণ প্রজন্মও এই ধরনের স্ট্রোকের শিকার হচ্ছে। আগে এই ঘটনার প্রবণতা বেশি ছিল বয়স্কদের মধ্যেই। কিন্তু, এখন ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী মানুষও এর শিকার হচ্ছেন। নিউরোসার্জন বলেন, স্ট্রোক হওয়ার আগেই খানিকটা সতর্ক হওয়া যেতে পারে। একবার স্ট্রোক হলে, শত চেষ্টা করেও আগের মতো জীবনযাত্রা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। সেক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—
advertisement
রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ—ডা. বিবেক রাজ বলেন, যাঁরা উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাঁদের নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাতে হবে এবং তা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
জীবনযাত্রায় বদল—অনেকেই সারা বছর ভোর ৫টায় উঠে স্নান করতে যান। এতে স্ট্রোক ও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষত শীতের সময় স্ট্রোকের আশঙ্কা খানিকটা বাড়ে বলেই মনে করা হয়। শীতের দিনে, সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসার পরে, হালকা গরম জলে স্নান করা উচিত। ঠান্ডা জলে স্নান করলে পরিণতি খারাপ হতে পারে। অনেক সময়ই দেখা যায় ভোরে স্নান করতে গিয়ে স্নানঘরেই স্ট্রোকের শিকার হয়েছেন অনেকে।
প্রাক-লক্ষণ—তরুণ বয়সে স্ট্রোকের সমস্যা এড়াতে নিজেদের খাদ্যাভ্যাসের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। শারীরিক পরিশ্রমও বাড়াতে হবে। ডা. বিবেক রাজ বলেন যে স্ট্রোক হওয়ার আগে, ২০-২৫ শতাংশ মানুষ তাঁদের শরীরে কিছু পরিবর্তন অনুভব করেন, যেমন মাথা ভারী হওয়া, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, কথা বলার সময় জড়িয়ে যাওয়া, শরীরের কোনও অংশে দুর্বলতা, হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এবিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।