চোখের নিচে এই ধরণের কসমেটিক ডিসর্ডার দূর করতে অবিলম্বে একটা স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেনে চলুন। কারণ আপনার জীবনধারা আপনার স্বাস্থ্যের ওপর অনেকটা প্রভাব বিস্তার করে।
আসুন এখন জেনে নেওয়া যাক এর মূল কারণগুলি কি কি -
কারণ এবং প্রভাব :
চোখের নিচে যে কালো দাগ বা বৃত্তগুলি নিয়ে আমরা এতো বেশি চিন্তাশীল হয়ে পড়ি সেগুলি কিন্তু রক্তনালী যা ত্বকের মাধ্যমে দেখা যায়।
advertisement
কিছু ক্ষেত্রে ভেরিকোজ ভেইনগুলির মতো চোখের নিচে বৃত্তাকার দাগগুলি উত্তরাধিকারী সূত্রেও পাওয়া যায়। যখন ত্বকের পৃষ্ঠের কাছাকাছি বড় শিরাগুলির মধ্য দিয়ে যায় রক্ত প্রভাবিত হয় , তখন একটি নীল আভা তৈরি করতে পারে। ত্বকের স্বচ্ছতার ওপরে বৃত্তের কালো হওয়াটা নির্ভর করে , বেশি স্বচ্ছ হলে ডার্ক সার্কেল আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
কোন ক্ষেত্রে হারের গঠন স্পষ্ট হলে তার ছায়া চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল তৈরি করতে পারে।
কখনো কখনো চোখের নিচে বা চারিপাশের ত্বকে চুলকানির সমস্যা হলে ডার্ক সার্কেল দেখা দিতে পারে।
কিছু ক্ষেত্রে খাবারে অ্যালার্জির কারণেও চোখের নিচের বা চারিপাশের অংশ কালো হয়ে যেতে পারে।
এটোপিক ডার্মাটাইটিসে আক্রান্ত রোগীদের এমন সমস্যা অনেক বেশি হতে পারে বিশেষ করে অ্যালার্জির মরসুমে।
প্রয়োজনের তুলনায় কম ঘুম হলে তা চোখের নিচে অংশকে ফ্যাকাশে করে দিতে পারে যার ফলে ডার্ক সার্কেল তৈরি হয়।
ভাসোডিলেটর জাতীয় ওষুধ রক্তনালীগুলিকে প্রসারিত করে চোখের নীচের ত্বক কালো করতে পারে। চোখের নিচের ত্বক খুবই পাতলা এবং নরম হওয়ার কারণে ত্বকের মধ্যে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।
পুষ্টিকর খাবারের অভাব এর জন্য দায়ী হতে পারে এবং চোখের নিচের অংশকে বর্ণহীন করে তোলে।
মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ত্বক কোলাজেন হারায়, তাই পাতলা এবং আরও স্বচ্ছ হয়ে যায়। যার ফলে ডার্ক সার্কেলগুলো আরো বেশি স্পষ্ট হয়ে ওঠে এবং ভবিষ্যতে এর স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
বয়স বাড়লে আমাদের মুখের পেশী এবং ত্বকের গঠন দুর্বল হতে শুরু করে এবং চোখের চারপাশের ফ্যাটি টিস্যুগুলিকে আর পর্যাপ্তভাবে ধরে রাখতে সক্ষম হয় না। তাই চোখের নিচের বাগগুলি স্থায়ী ফিক্সচারে পরিণত হয়।
অনেকেরই ঘুম থেকে উঠলে চোখ ফোলা থাকে। এই ক্ষেত্রে আপনার উচিত পিঠের ওপর ভর দিয়ে ঘুমানো এবং মাথার নিচে একটা এক্সট্রা বালিশ রাখা।
কী কী করা উচিত :
যে সমস্ত কারণের জন্য স্কিন ডিজর্ডার হতে পারে সেগুলোকে দূর করতে চেষ্টা করুন যেমন কিডনি , থাইরয়েড সমস্যা, সংক্রমণ কিংবা অ্যালার্জি।
ঘুমাবার সময় চেষ্টা করুন মাথা উঁচু করে ঘুমাতে যাতে আপনার চোখের চারপাশে তরল জমতে না পারে।
বিছানার গদিটা একটু উঁচু করে দিতে পারেন কিংবা ঘুমানোর সময় একটা এক্সট্রা বালিশ যোগ করতে পারেন।
যদি কোন ধরণের হেয়ার ডাই ,সাবান, প্রসাধনী বা অন্যান্য অ্যালার্জেনের কারণে চোখের নিচে কোন রিঅ্যাকশন হয়, তবে দেরি না করে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞর সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি এবং ধূমপান দুটোই কোলাজেনকে দুর্বল করে দেয় এবং ডার্ক সার্কেল তৈরি করে। তাই চেষ্টা করুন ধূমপান না করতে এবং চোখের নিচে একটি হাইপোঅ্যালার্জেনিক সানস্ক্রিন অথবা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে রাখতে।
নিরাময়ের উপায় :
চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল এবং ফোলাভাবের মত সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে আপনি মেডিক্যাল কিংবা সার্জিকাল ট্ৰিটমেন্টগুলো জেনে রাখতে পারেন -
স্কিন টোন এবং চোখের নিচে ও চারিপাশে ত্বকের দৃঢ়তার জন্য লেজার রিসারফেসিং খুব উপকারী। এটি চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল এবং ফোলাভাব থেকে কিছু কম করতে সক্ষম।
চোখের নীচে ডার্মাল ফিলার ইনজেকশন কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যা দূর করলেও এই পদ্ধতিটি যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। ত্বকের উপরিভাগের স্তরগুলিতে ইঞ্জেকশনটি না দিয়ে পেশীর খুব গভীরে দেওয়া হয়। তবে সব ক্ষেত্রে এটি উপকারী নয়।
চোখের পাতার অস্ত্রোপচার (ব্লেফারোপ্লাস্টি) চোখের নিচের ব্যাগ বা ফোলাভাব কমানোর জন্য খুবই কার্যকরী।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।