রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে পাঁচ হাজারের বেশি সংক্রমিতের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশেও দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ। শুধুমাত্র পিলভিট জেলাতেই পঁচিশের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এই পরিস্থিতিতে সকলকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কোনও উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা করা যাবে না।
advertisement
এমনিতেই এই সময় আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। মার্চ মাসের আবহাওয়ার সঙ্গে এপ্রিলের বিস্তর ফারাক। মাঝে মধ্যে ঝড় বৃষ্টি হলে তাপমাত্র নেমে যাচ্ছে একলাফে। না হলেই গরম বাড়ছে হু-হু করে।
এসব কারণে ভাইরাল জ্বর লেগেই রয়েছে ঘরে ঘরে। তেমন রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে। হাসপাতাল সূত্রে দাবি, পিলভিটের জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে সাধারণত ৫০০ রোগীর ভিড় হতই। এখন এই সংখ্যা গড়ে ৮০০-১০০০ ছুঁয়েছে। সূত্রের খবর এই সব রোগীর মধ্যে বেশির ভাগই কাশি, সর্দি বা জ্বরের মতো সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসছেন।
করোনার উপসর্গও এর থেকে কিছু আলাদা নয়। পরিস্থিতি এমনই যে বহু রোগী সাধারণ জ্বর বলে হাসপাতালে এসেছিলেন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। চিকিৎসক খানিকটা সন্দেহের বশে কোভিড পরীক্ষা করাতে বলেন এবং দেখা যায় ওই রোগী করোনাতেই আক্রান্ত।
এমন পরিস্থিতিতে এখন রোগীদের আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সর্দি কাশি, জ্বর থাকলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
জেলা হাসপাতালে চিকিৎসক রমাকান্ত সাগর জানান, মৌসুমি রোগের প্রকোপ বেড়েছে। এটি সংক্রমণের মাধ্যমেও ছড়ায়, তাই কোভিডের ঝুঁকি অনেক বেশি হয়ে যায়। ফলে যদি কেউ কাশি, সর্দি, জ্বর, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ অনুভব করেন অবশ্য কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হবে।
সেই সঙ্গে নিজের ডায়েটের দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। বাইরে যাওয়ার সময় নিয়মিত মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করাও প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।