গোটা বিশ্ব ঘুরে দেখতে প্রথমেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন ওই দম্পতি। তারপর গাড়ি, বাড়ি বিক্রি করে বেড়িয়ে পড়েন বিশ্ব ভ্রমণে। তাঁদের কথায়, “২ বছর ধরে বিশ্ব ভ্রমণ করছি। এমন লাইফস্টাইল তৈরি করেছি, যাতে ভাড়া নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। হোটেল বুক করার টেনশনও থাকে না। এমনকী ভয় নেই চাকরি হারানোর।” কিন্তু কীভাবে এটা সম্ভব করেছেন তাঁরা?
advertisement
ব্রিটেনের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী হান্না বুল এবং তাঁর স্বামী রবের বেড়ানোর নেশা। ভাল চাকরি করতেন। হান্না ছিলেন জনসংযোগ এবং বিপণন বিশেষজ্ঞ। রবের শয়নে-স্বপনে শুধুই বেড়ানো। চাকরিতে ছুটি অতি নগণ্যই। ফলে খুব একটা বেরোতে পারতেন না। প্রায় ৬ বছর আগে ২ মাসের ছুটি পেয়েছিলেন। সেই সময় ক্যালিফোর্নিয়ায় বেড়াতে যান ওই দম্পতি। সমুদ্র সৈকতের শোভা উপভোগ করতে করতে দু’জনে ঠিক করেন, “যে ভাবেই হোক, গোটা পৃথিবী ঘুরে দেখতে হবে।” তখন থেকে টাকা জমাতে শুরু করেন। কিন্তু ভাগ্য যেন অন্য কিছু ঠিক করে রেখেছিল।
অপরিচিতদের বাড়িতে আশ্রয়:
২০২২ সাল। সদ্য করোনা থেকে মুক্তি পেয়েছে গোটা বিশ্ব। দু’জনের মনে হল, জীবন অনিশ্চিত। এভাবে চললে, বিশ্বকে জানব কবে? হান্না বললেন, “বেরিয়ে পড়লাম আমরা। পকেটে সামান্য পুঁজি। থাকার জায়গা নেই। অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। ছোটখাটো কাজ করেছি। দুটো পয়সা জমিয়ে আবার বেরিয়ে পড়েছি অজানার সন্ধানে।”
টাকা জোগাড় করতে কী না করেছেন! অ্যারিজোনায় ঘোড়ার খামারে কাজ করেছেন। বুদাপেস্টের স্কুলে ছোটদের ইংরেজি শিখিয়েছেন। কোস্টারিকায় বই সম্পাদনা থেকে মন্টিনিগ্রোতে মুরগির লড়াই – সব। ডেইলি মেল-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হান্না বলেন, “কোভিডে চাকরি চলে যায়। তখন মনে হয়, এভাবে সব কিছু শেষ হয়ে যেতে পারে না। চাকরিই জীবনের সব কিছু নয়। এর পরেই আমরা বেড়িয়ে পড়ি।”
ঘুরেছেন ৪০টির বেশি শহর:
হান্নার পরিকল্পনা ছিল, জমানো টাকায় ৩ বছর আরামে বেড়াতে পারবেন। কিন্তু তারপর ঠিক করেন, ছোট ছোট কাজ করবেন। এতে যেমন রোজগার হবে, তেমনই স্থানীয় মানুষজনকে জানার সুযোগ পাওয়া যাবে। এভাবেই তাঁরা গত ২ বছরে ৪০টিরও বেশি শহর ঘুরে দেখেছেন।
