করোনার হাত থেকে বাঁচতে কি মাস্ক পরা উচিত? ঠিক কোন পরিস্থিতিতে মাস্ক পরবেন? কী ধরনের মাস্ক পরলে ঠেকানো যাবে ভাইরাসের সংক্রমণ? বিশ্বব্যাপী মহামারীর সময়ে মাস্ক নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের একাংশের মধ্যে মতান্তর দেখা দিয়েছে। শনিবার মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট-এর প্রতিবেদনে, মাস্কের ব্যবহার নিয়ে মতান্তরের ছবিটা উঠে এসেছে।
advertisement
হু বলছে, সুস্থ ব্যক্তির সবসময়ে মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই। তবে সর্দি-কাশির সমস্যা থাকলে ফেস মাস্ক পরতে হবে। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার সময়ে অবশ্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। তবে করোনা ঠেকাতে শুধুমাত্র মাস্ক পরলেই কাজ হবে না। মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি ঘন ঘন হাত ধুতে হবে। সেইসঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজারও ব্যবহার করতে হবে।
করোনা মোকাবিলায় মাস্কের ব্যবহার নিয়ে হু-এর সঙ্গে একমত নন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে, সুস্থ থাকলেও মাস্ক পরতে হবে। উদাহরণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, মাস্ক ব্যবহার করেই করোনা-যুদ্ধে সাফল্য পেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া, তাইওয়ান, হংকং-এর মতো দেশ। কারণ করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ফেস মাস্ক যথেষ্ট কার্যকর। সেজন্য যে N95 ব্যবহার করতে হবে, এমনটা নয়। সাধারণ কাপড়ের তৈরি মাস্কও করোনা ঠেকাতে পারে।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, বিশেষজ্ঞদের একাংশের কথা শুনে এখনই মাস্ক কিনতে ছোটার কোনও প্রয়োজন নেই।
করোনা যুদ্ধের শুরু থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা মেনে চলছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। হু-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে। তাই মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রেও হু-এর নির্দেশিকাকেই শেষ কথা হিসেবে মানছে দেশের চিকিৎসক মহল।