আর মরশুম বদল এবং কোভিডের চোখরাঙানি – এই দুইয়ের আক্রমণে অনেকেই সর্দি-কাশি কিংবা জ্বরে ভুগছেন। তবে এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত কিংবা উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। বরং কিছু প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, আর সেই সঙ্গে নিজেদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি বাড়ানোর উপর জোর দিতে হবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, এতে সুস্থও থাকা যাবে এবং মরশুমি সংক্রমণের হাত থেকেও অনেকাংশে বাঁচা যাবে। তাহলে আজকের প্রতিবেদনে ইমিউনিটি বাড়ানোর কিছু পন্থার বিষয়ে বিশদে আলোচনা করে নেওয়া যাক।
advertisement
পাতে থাকুক মরশুমি ফল আর শাকসবজি:
এই সময় বেশি পরিমাণে পাতে রাখতে হবে ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারদাবার। আর ভিটামিনে ঠাসা ফল ও শাকসবজির মধ্যে অন্যতম হল – পেয়ারা, কমলালেবু, গাজর, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি। এই সব খাবার বেশি পরিমাণে সেবন করলে ইমিউনিটিও বৃদ্ধি পাবে।
উষ্ণ ভেষজ চা পান:
সংক্রমণের সঙ্গে মোকাবিলা করতে কিংবা এর হাত থেকে বাঁচার জন্য আদা, তুলসী এবং হলুদের ভেষজ চা সেবন করতে হবে। এতে পরিপাক ক্রিয়ারও উন্নতি ঘটবে।
হাইজিন বা স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা:
বর্তমানে আবারও কোভিড ১৯ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে কোভিড ভাইরাস এবং যে কোনও সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচার জন্য মাঝেমধ্যেই হাত ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। কিংবা স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। সেই সঙ্গে নিজের বাড়ির চারপাশের পরিবেশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আবশ্যক। এভাবে জলবাহিত এবং ভাইরাল রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের মর্গে সারি সারি দেহ, বিমান বিস্ফোরণে মুখ ঝলসে চেনা দায়! DNA পরীক্ষায় শনাক্তকরণ
উষ্ণ জল পান:
ইমিউনিটি বা দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য উষ্ণ কিংবা ঈষদুষ্ণ জল পান করতে হবে। এতে হজমশক্তি তো বাড়বেই, সেই সঙ্গে এই অভ্যাস দেহে থাকা টক্সিনও বার করে দেবে।
প্রোবায়োটিক সেবন:
ইমিউনিটির বৃদ্ধি করার জন্য প্রোবায়োটিক সেবন করা জরুরি। আর প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবারের মধ্যে অন্যতম হল – দই অথবা ফার্মেন্টেড খাবার। ইমিউনিটি বাড়ানোর পাশাপাশি অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতিও বাড়াতে সাহায্য করে এই ধরনের খাবার।