রাষ্ট্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রন কেন্দ্রের (NCDC) নির্দেশক ডা. এসকে সিং (Dr SK Singh) একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন যে, করোনার টিকা ছাড়া লোকেরা এবং গুরুতর রোগের রোগীরা সবার প্রথমে বেশি বিপদের মধ্যে পড়ে করোনার প্রভাবে। সম্প্রতি দিল্লির দিকে লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে যে, সেখানে করোনার প্রভাবে যত জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৬৪ শতাংশ লোক এমন রয়েছে, যারা করোনার টিকা নেয়নি (Coronavirus) এবং যাদের গুরুতর রোগ রয়েছে। এর ফলে যারা এখনও করোনার টিকা নেয়নি এবং যাদের গুরুতর রোগ রয়েছে তাদের সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, কারণ করোনার প্রভাবে তাদের বিপদ হওয়ার সম্ভাবনাই সবথেকে বেশি।
advertisement
করোনার টিকা মৃত্যুর ভয় কমিয়েছে -
আইসিএমআর (ICMR) এর মহানির্দেশক ডা. বলরাম ভার্গব (Dr Balram Bhargav) জানিয়েছেন যে, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রধান হাতিয়ার হল করোনার টিকা। কারণ লক্ষ্য করে দেখা গিয়েছে যে, করোনার টিকা নেওয়া লোকেদের থেকে করোনার টিকা না নেওয়া লোকেদের বিপদের সংখ্যা বেশি। যারা করোনার টিকা নেয়নি, করোনার প্রভাবে তাদের মৃত্যুর হারই বেশি। কারণ যারা করোনার (Coronavirus) টিকা নিয়েছে করোনার প্রভাবে তাদের মৃত্যুর ভয় অনেকটাই কম। এক্ষেত্রে তাদের গুরুতর কোনও রোগ না থাকলে সেই ভয় অনেকটাই কমে যায়।
আইসিএমআর জানিয়েছে করোনার টিকাই হল গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার -
আইসিএমআর (ICMR) এর মহানির্দেশক ডা. বলরাম ভার্গব সেই সকল রাজ্যে করোনার (Coronavirus) টিকাকরণ বাড়াতে বলেছেন, যাদের টিকাকরণের হার খুবই কম। তিনি জানিয়েছেন. "ভারতে প্রায় ৯৫ শতাংশ প্রথম করোনার টিকা এবং বয়স্কদের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ দুটি করোনার টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও কয়েকটি রাজ্যে করোনার টিকাকরণের গ্রাফ নিম্নমুখী। তাই আমি সেই সকল রাজ্যের কাছে আবেদন করছি করোনার টিকাকরণের গতি বাড়ানোর জন্য।"
আরও পড়ুন: ঘরে বাইরে তোলপাড়! আচমকা বিগ বস থেকে বাদ পড়লেন রাখি সাওয়ান্ত
সাড়ে তিন লাখ কেসে মাত্র ৪৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে -
স্বাস্থ্য মন্ত্রালয়ের সচিব লব আগরওয়াল জানিয়েছেন যে করোনার (Coronavirus) টিকাকরণের ফলে মৃত্যুর হার অনেকটাই কমে গিয়েছে। ২০২১ সালে ৪,১৪,১৮৮টি নতুন কেস সামনে আসে, এর মধ্যে মৃত্যু হয় ৩৬৭৯ জনের। ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি মোট প্রায় ৩,৪৭,২৫৪টি কেস সামনে আসে, কিন্তু এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে মাত্র ৪৩৫ জনের।