রহস্যময় পাতা: পাকা রাঁধুনিরা চাল ফোটানো বা ভাজার সময় তাতে কিছু মশলা এবং ভেষজ যোগ করেন। ভাত যাতে ঝরঝরে এবং স্বাদ যাতে খোলতাই হয় সে জন্যই এই পদ্ধতি। মাংস থেকে তরিতরকারি, ভারতীয় রান্নায় তেজপাতার বহুল ব্যবহার। এটা শুধু স্বাদ, গন্ধ বাড়ায় তাই নয়, পোলাও, বিরিয়ানির মতো চালের যে কোনও রান্নায় সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর ট্যুইস্টও এনে দেয়।
advertisement
ভাতে তেজপাতা কেন: তেজপাতা ভিটামিন এ, বি৬ এবং ভিটামিন সি-এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টির সমৃদ্ধ উৎস। তা ছাড়াও, এই পাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, বিপাক ক্রিয়াকে উন্নত করতে এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের উপস্থিতির কারণে সংক্রমণ এবং অ্যালার্জির প্রভাব কমাতে দুর্দান্ত। ডিজিটাল জার্নাল ওয়েবএমডি-তে প্রকাশিত একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘তেজপাতা স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস (স্টাফ সংক্রমণের পিছনে ব্যাকটেরিয়া) এবং ই. কোলি উভয়ের বৃদ্ধিকে বাধা দেয়। শুধু তাই নয়, গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে, তেজপাতার বৈশিষ্ট্যগুলি এইচ পাইলোরি, একটি ব্যাকটেরিয়া যা আলসার এবং এমনকি ক্যানসার সৃষ্টি করে, তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।’ এমনকী তেজপাতা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতেও সাহায্য করে বলে প্রকাশ গবেষণায়।
আরও পড়ুন -
ভাতে তেজপাতা দেওয়ার পদ্ধতি: রাইস কুকার বা হাঁড়িতে চাল ফোটানোর সময়ই তেজপাতা দিতে হয়। তবে ফ্যান ঝাড়ার আগে পাতাগুলো বের করে নিতে হবে। আর পোলাও কিংবা বিরিয়ানি রান্নার সময় মশলার সঙ্গেই তেজপাতা দিয়ে দেওয়া যায়। তারপর ভাতে মিশিয়ে দিলেই হল। এতে ভাতে অন্যরকমের স্বাদ চলে আসবে। সাধারণ ভাত ফোটানোর সময় মাত্র দুটো তেজপাতা দিলেই বাসমতী চালের মতো স্বাদ চলে আসবে।