এই বাড়িতে যে পরিবার থাকে, সেই পরিবারের গৃহবধূ দীপিকা সাহা জানান, তিনি বিয়ে হয়ে আসার পর থেকেই এই বাড়িটি দেখছেন। বাড়িতে একটি দীর্ঘ শতাধিক বছর পুরনো শিলনোড়া রয়েছে। যাতে আজও তাঁরা মশলা পিষে থাকেন। দীপিকা সাহার ছেলে অঙ্কুর সাহা জানান, এই বাড়িটির ঘরগুলিতে তাঁরা সেই পুরনো সময়ের ছোঁয়া অনুভব করে থাকেন। তাই বাড়িটির সঙ্গে একটা মায়ায় জড়িয়ে গিয়েছে তাঁদের। এই বাড়ির পেছনে তাঁদের পাকা দোতলা বাড়ি রয়েছে। তবে এই ঘর গুলিতেই তাঁরা থাকতে বেশি পছন্দ করেন।
advertisement
এই পরিবারের ছেলে চন্দন সাহা জানান, দীর্ঘ সময় আগে তাঁর বাবার কাছে একজন কাঠের ব্যবসায়ী বাড়িটি বিক্রি করেন। তারপর থেকে এই বাড়িটি তাঁদের কাছেই রয়েছে। কোচবিহারের এক ইতিহাস অনুসন্ধানী সুবীর সরকার জানান, এই বাড়িটি কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ ভূপ বাহাদুরের সময়ে নির্মাণ করা হয়। সেই সময়ের একজন কাঠের ব্যবসায়ী বীরেন দাস বাড়িটি নির্মাণ করেন। তারপর বাড়িটি ১৯৭০-৭১ সাল নাগাদ বিক্রি হয় ভোলাপ্রসাদ সাউয়ের কাছে। বাড়িটিতে দীর্ঘ সময়ের পুরনো একটি শিলকোটা রয়েছে যাতে আজও মশলা পেষা হয়।
আরও পড়ুন : ১ মুঠি বীজেই জব্দ ব্লাড সুগার! ৩ খাবারের চুম্বকটানে সাফ ডায়াবেটিস! জানুন সুস্থ থাকার চাবিকাঠি
দীর্ঘ প্রাচীন এই বাড়িটির নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছিল শাল ও সেগুন কাঠ। মূলত সংস্কারের অভাবে বর্তমানে বাড়িটির অবস্থা জরাজীর্ণ।তবে বাড়িটির কাঠের কারুকার্য ও নকশা আজও দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আজও বাড়িটির সৌন্দর্য আকর্ষণ করে জেলার বাইরের বহু পর্যটকদের। কালের নিয়মে হয়তো এই বাড়িটি একটা সময় আর থাকবে না। তবে বাড়িটির স্মৃতি আকড়ে থাকবেন এই পরিবারের মানুষ।