পুজো উপলক্ষে মন্দিরে আগত এক সাধু অরবিন্দ ব্রজবাসী জানান, ‘‘প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি সময় আগে মূল মেলার ও পুজোর সূচনা হয়েছিল। এই সূচনা হয় ওপার বাংলায়। পরবর্তীতে দেশভাগের পর সেই পুজো ও মেলার উদ্যোক্তাদের একাংশ চলে আসেন ভারতে। এরপর ১৩৫৯ বঙ্গাব্দে বামনহাট পাথরশন গ্রামে তৈরি হয় এই কালী মন্দির।” মেলায় আগত ব্যবসায়ী নৃপেন দেবনাথ জানান, “শতাধিক বছর আগে ব্রিটিশ আমলে অর্থাৎ, অবিভক্ত ভারতে (অধুনা বাংলাদেশ) নাকেশ্বরীর মাধাইখাল গ্রামে প্রথম সূচনা হয় এই পুজো ও মেলার। সেখানে এই একই তিথিতে এখনোও মায়ের পুজো ও মেলার আয়োজন হয়।”
advertisement
আরও পড়ুন : রয়্যাল বেঙ্গল বাঘের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়েও ঘোচেনি অভাব! তিন মেয়েকে নিয়ে অকূল পাথারে গণেশ শ্যামল
পুজোয় আগত এক ভক্ত সান্ত্বনা বর্মন বলেন, “প্রাচীন প্রথা অনুসারে এখানে দেবী প্রতিমা হয় বিশালাকার। প্রতিবছর নতুন করে মাটি দিয়ে কালী প্রতিমা তৈরি করা হয়। মেলায় আলু-পটল থেকে শুরু করে মনিহারি, রকমারি, জামা-কাপড় সব জিনিসপত্রই পাওয়া যায়। এছাড়াও মেলায় বসতে দেখা যায় সার্কাস ও নাগরদোলা। পাশাপাশি, রয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা-সহ কড়া পুলিশি নজরদারির ব্যবস্থা। দিনহাটা মহকুমার একেবারে সীমান্ত লাগোয়া প্রান্তিক এলাকায় এই মেলা গোটা জেলার মানুষের আকর্ষণ।”
জেলার বাইরে থেকেও বহু মানুষ আসেন এই পুজো দেখতে। বাইরে থেকে প্রচুর সাধু-সন্ন্যাসীও আসেন এই পুজোয়। মেলায় আসে প্রচুর দোকানপাট এবং নাগরদোলা। বহু মানুষও আসেন এই মেলার আনন্দে মেতে উঠতে।