জলে নামব কিন্তু বেণী ভেজাব না বললে তো হবে না! শীতকালে অনেকে সেটাই করেন। বেশিরভাগই অবশ্য গরম জলে স্নান করেন। মাথাতেও ঢালেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না গরম জলের কারণে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। শুরু হয় চুলকানি। খুশকি বৃদ্ধি পায়। আর একবার খুশকি ধরলে সহজে ছাড়ে না।
আসলে গরম জল চুলের হাইড্রোজেন বন্ডকে ভেঙে দেয়। ফলে চুল প্রায় ১৮ শতাংশের বেশি ফুলে ওঠে। মাথার ত্বক আরও শুকিয়ে যায়। চুলের গোড়া হয় দুর্বল। অনেকেই শীতকালে চুলের নানা সমস্যায় ভোগেন, এটা গরম জলে স্নানের কারণেও হয়। গরম জল চুলকে ছিদ্রযুক্ত করে তোলে। ফ্লাইওয়েলগুলো ভেঙে যায়। মাথার ত্বকে জমে থাকা প্রাকৃতিক তেলও নষ্ট হয়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন : বরফজলেই বাজিমাত! ক্যাটরিনা কাইফের রূপরহস্যের চাবিকাঠি পেতে চাইলে জানুন 'জামসু' নিয়ে
অন্য দিকে ঠান্ডা জল প্রাকৃতিক তেল সংরক্ষণ করতে পারে। চুল রাখে স্বাস্থ্যকর এবং চকচকে। শুধু তাই নয়, ঠান্ডা জল চুল এবং মাথার ত্বকের আর্দ্রতাকে লক করে। কিউটিকল বন্ধ করে দেয়। ফলে চুল হয় মসৃণ। তবে শীতকালে ঠান্ডা জলে স্নান এবং শ্যাম্পুর কিছু সমস্যাও আছে। এটা চুলকে চ্যাপ্টা করে দেয়। মনে হয় ভলিউম কমে গিয়েছে। কারণ কিউটিকলগুলো অনেক সময় অতিরিক্ত আর্দ্রতা লক করে ফেলে।
তাহলে কী করা উচিত? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালে শ্যাম্পুর পর ডিস্টল ওয়াটার দিয়ে চুল ধুতে হবে। হার্ড ওয়াটারে ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান থাকে যা মাথার ত্বক এবং চুলে জমাট বাঁধতে পারে। দ্বিতীয়ত, প্রয়োজন অনুযায়ী দু-তিন দিন অন্তর শ্যাম্পু করা উচিত। এখন শ্যাম্পু কখন করা উচিত সেটা কীভাবে বোঝা যাবে? সহজ উপায় হল, চুল যদি তৈলাক্ত হয়ে যায়, ময়লার কারণে ফ্লেক্স দেখা যায়, মাথায় চুলকানি হয়, তাহলে বুঝতে হবে শ্যাম্পু করার সময় এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করাই উচিত। তারপর কন্ডিশনার। এটাই শীতে যে কোনও ক্ষতি থেকে চুলকে রক্ষা করবে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)