আরও পড়ুনঃ বাসন মাজলেই হাতে চুলকানি বা খসখসে ভাব? জানুন যত্নের টিপস
এমনকী কোনও কোনও ক্ষেত্রে অপ্রাপ্তবয়স্কের আত্মঘাতী হওয়ার খবরও পাওয়া যায়। তবে সব সময় পড়াশোনা সংক্রান্ত চিন্তাই যে একমাত্র কারণ তা বলা যায় না। শৈশব বা কৈশোরকালে ব্যক্তিগত কিছু ঘটনাও তাদের উদ্বিগ্ন করতে পারে। শিশুদের এই মানসিক সমস্যাগুলি কেমন হতে পারে, কী বা প্রতিকার, শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গার্গী পান্ডের এই বিষয়ে জানালেন বিস্তারিত—
advertisement
শৈশব বা কৈশোরে মানসিক চাপের নানা রকম কারণ তৈরি হতে পারে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গার্গী পান্ডে বলেন, শিশুদের মানসিক চাপের অনেক কারণ রয়েছে। ইদানীং সব থেকে বেশি যেটা ঘটছে তা হল বাবা-মায়ের কাছে গুরুত্ব বা পর্যাপ্ত সময় না পাওয়া, শিক্ষকদের কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন না পাওয়া। এরই পাশাপাশি রয়েছে শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, অতিরিক্ত স্ক্রিন-টাইম, অনিয়মিত ঘুম এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য একা থাকা।
তিনি বলেন, শিশুদের আচরণের দিকে নজর রাখা খুবই জরুরি। বিশেষ করে ঘুমের অভ্যাসের পরিবর্তন, ক্লান্ত বোধ করা, একা একা থাকতে পছন্দ করা, বন্ধু বা পরিবারের থেকে দূরে সরে যাওয়া, বিরক্তি বা খিটখিটে মনোভাব, আগ্রহের অভাব তৈর হতে পারে। এগুলির পাশাপাশি শিশু বা বয়ঃসন্ধিকালীন সন্তানের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের দিকেও নজর রাখা প্রয়োজন।
অনেক সময়ই দেখা যায় সন্তান সোশ্যাল মিডিয়ায় ডার্ক ছবি পোস্ট করে। যার মধ্যে দিয়ে তার বিরক্তি ফুটে ওঠে। অথবা বিষাদময় রিল শেয়ার করে। এরই পাশাপাশি তার দৈনন্দিন আচরণে পরিবর্তন হয়। এমন ঘটলে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। অভিভাবক হিসাবে আরও মনোযোগ দিতে হবে সন্তানের প্রতি, নাহলে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে।