একদিকে যেমন মন্দিরের বাইরে উৎসবের মেজাজ, এখন থেকেই বহু ভক্তদের ভিড় পুজো দেওয়ার জন্য। ঠিক তেমনি এখন জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে মায়ের প্রতিমা তৈরির। দীর্ঘ চার প্রজন্ম ধরে শকুন্তলা কালী মায়ের মূর্তি তৈরি করে আসছেন কোন্নগর বারো মন্দির সংলগ্ন এলাকার মৃৎশিল্পী বাদলচন্দ্র পাল। যদিও এই দিনে শুধুমাত্র শকুন্তলা মায়ের নয় একইসঙ্গে পুজো হয় আরও বেশ কয়েকটি। ঠাকুর তৈরির জায়গায় এখন একসঙ্গে রক্ষা কালী মায়ের বিভিন্ন রূপ।
advertisement
এই বিষয়ে ঠাকুর নির্মাতা বাদলচন্দ্র পাল জানান, তাঁরা চার প্রজন্ম ধরেই ঠাকুর বানিয়ে আসছেন। প্রথমে তাঁর ঠাকুরদা মায়ের প্রতিমা গড়তেন। পরবর্তীতে তাঁর বাবা, তাঁর কাকা এবং তার পর এখন বাদল পাল নিজের হাতে দীর্ঘ বছর ধরে তৈরি করে আসছেন শকুন্তলা মায়ের মূর্তি। আগে একটা সময় এক রাতেই তৈরি হত এই মূর্তি। এক রাতে পুজো হত, পরের দিন সকালে হত নিরঞ্জন। কিন্তু এলাকায় বেড়েছে পুজোর সংখ্যাও। সেই কারণে এখন আগে থেকেই ঠাকুর তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। একটা সময় শকুন্তলা কালীপুজোর দিনে এখানে নয়টি পূজা হত। তবে বর্তমানে সে পুজোর সংখ্যা আরও বাড়ছে দিন দিন।