প্রকৃতির বাস্তুতন্ত্রের তেমনই এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শুঁয়োপোকা। এরাই কালক্রমে প্রজাপতি হয়ে ওঠে। প্রজাপতি যতটা কোমল প্রাণী, শুঁয়োপোকা কিন্তু ঠিক ততটাই বিপজ্জনক। মানুষের ত্বকের সংস্পর্শে এলে এটি ফোলাভাব, তীব্র চুলকানি এবং সংক্রমণ ঘটায়। অতএব এর আক্রমণে ভোগার আগেই প্রতিরোধের কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরি।
শুঁয়োপোকা দেখেননি বাড়ির ধারেকাছে, এমন মানুষ বিরল। এদের একসঙ্গে দল বেঁধে বা একা একা ঘুরতে দেখা যায় এবং শরীরের সংস্পর্শে এলে বহুবিধ ক্ষতির কারণ হয়ে ওঠে। এটি ত্বকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে, যার ফলে চুলকানি এবং জ্বালা হতে পারে।
advertisement
শুঁয়োপোকা গায়ে লাগলে আর দেখতে হয় না, সঙ্গে সঙ্গে জায়গাটা ফুলে লাল হয়ে যায় এবং প্রায় পর পরই শুরু হয়ে যায় তীব্র চুলকানি, এদের শরীরের বিষাক্ত লোম বা পরজীবী থেকেই এ হেন বিপজ্জনক সংক্রমণ ঘটে। এটি শরীরের যে অংশের সংস্পর্শে আসে সেখানে তীব্র অস্বস্তির জন্ম দেয়।
শুধু মানুষেরই নয়, শুঁয়োপোকা ফসলেও প্রভাব ফেলে। এই পোকা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ফসলের পাতা খায়, যার ফলে গাছের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়। এর আক্রমণ কৃষি উৎপাদনের জন্য খুবই ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়।
আরও পড়ুন : কোলন ক্যানসারের লক্ষণ কী কী? ‘এই ৫’ জনের হওয়ার ভয় সবথেকে বেশি! জেনে নিন
যখন এটি শরীরে আক্রমণ করে তখন তাৎক্ষণিক উপশমের জন্য ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্য নেওয়া যায়। চুলকানি এবং জ্বালা কমাতে আক্রান্ত স্থানে নারকেল তেল, অ্যালোভেরা জেল, অথবা বেকিং সোডার পেস্ট লাগানো যেতে পারে। নিমের তেল এবং অ্যাপল সিডার ভিনিগারও সংক্রমণ প্রশমিত করতে সাহায্য করতে পারে।
তবে, গোবরকেই সবচেয়ে কার্যকর এবং দ্রুত ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আক্রান্ত স্থানে অবিলম্বে গোবর লাগাতে পারলে এর ক্ষতিকারক প্রভাব কমানো যায়, দেখতে দেখতে ফোলাভাব এবং চুলকানি কমে আসে, যদিও কিছু লোকের জন্য এই প্রতিকারটিও আবার অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
