শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার
প্রথমেই চুলের চাহিদা অনুযায়ী শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। কারণ ভালো মানের শ্যাম্পু অ্যান্টি-ব্রেকেজ, অ্যান্টি-হেয়ারফল, স্ট্রেন্থনিং প্রকৃতির হয় যা চুল সোজা এবং মসৃণ করতে সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর ও ঝলমলে চুলের জন্য ওটস, মটর, রোজমেরি, আর্গান তেল এবং জৈব পাতার মিশ্রণের সঙ্গে অত্যন্ত সক্রিয় উপাদানগুলির শ্যাম্পু ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।
advertisement
পাশাপাশি শ্যাম্পুর পরে কোনও কন্ডিশনারের ব্যবহার খুব ভালো হাইড্রেটিংয়ের কাজ করে। যা চুলের শুষ্কতা কমাতে এবং চুলকে নরম ও মসৃণ করে তুলতে সাহায্য করে।
নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার
বাড়িতে চুলের যত্নের জন্য মাস্ক ব্যবহার খুবই জরুরি। হেয়ার মাস্ক গমের প্রোটিন, আর্গান তেল এবং শিয়া বাটার সমৃদ্ধ হলে চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ হয়। এটি ক্ষতিগ্রস্ত চুল মেরামত করতে খুব ভালো পুষ্টি দেয়। হেয়ায় মাস্ক ব্যবহারের পর চুল নরম, ঝলমলে থাকে এবং শুষ্কতা থাকে না বলে সহজে চুলে যে কোনও স্টাইল করা যায়।
আরও পড়ুন : সন্তানের উচ্চতা নিয়ে চিন্তিত? জেনে নিন কী রাখবেন ডায়েটে
হোম হেয়ার স্পা কিট
আজকাল বাজারে প্রচুর হ্যান্ডি হেয়ার স্পা কিট পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে আর্গান অয়েল, রোজমেরি এবং ওটস সমৃদ্ধ স্পা কিটই সবচেয়ে ভালো। কারণ এগুলি চুলের জট ছাড়ানোর জন্যে খুব ভালোভাবে পুষ্টি জোগায়। স্পা কিটে থাকবে শ্যাম্পু, হেয়ার মাস্ক এবং হেয়ার সিরাম। অ্যান্টি-হেয়ারফল প্রোডাক্টগুলিতে সাধারণত ফাইবার, আর্দ্রতা এবং পুষ্টি থাকে। একই সঙ্গে স্টাইলিং প্রোডাক্ট ব্যবহার করে চুলের যাতে ক্ষতি না হয় সেজন্য চুলের স্টাইল করার সময় হেয়ার সিরাম ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : মহিলাদের গোপনাঙ্গে দুর্গন্ধ যথেষ্ট উদ্বেগের, জানুন কী করবেন, কী করবেন না
ফ্রিজি চুলের জন্য হেয়ার সিরাম
শুষ্ক এবং রুক্ষ চুলের সমস্যায় ভুগলে পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যকর এবং নরম চুলের জন্য হেয়ার সিরাম ব্যবহার করা উচিত। হেয়ার সিরাম শুধুমাত্র চুলের জেল্লা বজায় রাখবে না, একই সঙ্গে আর্দ্রতায় চুলকে হাইড্রেট করে। সেক্ষেত্রে ওটস, মটর, রোজমেরি, আর্গান তেল এবং জৈব পাতার মিশ্রণে সমৃদ্ধ সিরাম চুলকে স্বাস্থ্যকর করে তোলে।