শুধু তাই নয়, রোগের অন্তর্নিহিত জেনেটিক কারণ চিহ্নিত করে রোগ নির্ণয়ের উন্নতির জন্য জিনোমিক্স ব্যবহার করা যেতে পারে। এটা সঠিক রোগ নির্ণয় করতে সাহায্য করবে। সময়ও কম লাগবে। জিনোমিক্সের সাহায্যে রোগের ছড়িয়ে পড়া আটকানোও সম্ভব। স্বাস্থ্য পরিষেবার বিপুল খরচ কমাতেও এটা সাহায্য করে।
আরও পড়ুন- মধ্যবিত্তদের সুরাহা হলেও অর্থনীতির জন্য কতটা লাভজনক? বাজেট দেখে শিল্পপতিরা যা বলছেন...
advertisement
নতুন এবং কার্যকর ওষুধ তৈরিতেও সাহায্য করে জিনোমিক্স। কারণ এটা নতুন ওষুধের লক্ষ্য চিহ্নিত করতে সাহায্য করে, যা আরও কার্যকর ওষুধের বিকাশের দিকে পরিচালিত করে। জেনেটিক পরীক্ষা এবং কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট রোগের জন্য উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের সনাক্ত করতে এবং তাদের জন্য নির্দিষ্ট প্রতিরোধ কর্মসূচি তৈরি করতেও সহায়তা করে জিনোমিক্স।
ভারত বিশাল জনসংখ্যার এক বৈচিত্রময় দেশ। জিনোমিক্স ভারতের জিনগত বৈচিত্র্য বোঝার ক্ষেত্রেও সাহায্য করতে পারে। জনসংখ্যা-নির্দিষ্ট জিনোমিক্স অধ্যয়ন রোগের জেনেটিক ভিত্তি বুঝতে এবং আরও কার্যকর চিকিৎসা বিকাশে কার্যকরী ভূমিকা নেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
জিনগত ভিত্তি বোঝার মাধ্যমে এবং আরও কার্যকর চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের কৌশল তৈরি করে জিনোমিক্স অসংক্রামক রোগ (এনসিডি) যেমন ক্যানসার, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের সম্ভাবনা কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
জিনোমিক্সের সাহায্যে ভারতের স্বাস্থ্য খাতকে আমূল বদলে দেওয়া সম্ভব। তবে এই প্রযুক্তির নৈতিক, আইনি এবং সামাজিক প্রভাবগুলি মাথায় রাখতে হবে। জিনোমিক্সের সুবিধা নেওয়ার জন্য একটি শক্তিশালী স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো এবং সু-প্রশিক্ষিত কর্মী থাকাও গুরুত্বপূর্ণ। ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবায় জিনোমিক্সের ব্যবহার করলে দেশের স্বাস্থ্য সেবার মানে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে। দেশবাসী পাবে সুস্থ জীবন। চিকিৎসাও অনেক সহজ হয়ে যাবে।