তাঁর মতে, কোনও বিশ্রাম বা বিরতি ছাড়া অতিরিক্ত বা সীমাহীন এক্সারসাইজ করলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। কার্ডিওভাস্কুলার রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। এর মধ্যে অন্যতম হল মায়োকার্ডিয়াল ড্যামেজ এবং কার্ডিয়াক অ্যারিদমিয়া। তবে মাঝারি তীব্রতার এক্সারসাইজ করলে এই সব রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে।
আরও পড়ুন: চোখ কড়কড় করে লাল হয়ে যাচ্ছে? লক্ষণ কিন্তু ভাল নয়! কীভাবে বাঁচবেন কনজাঙ্কটিভাইটিসের হাত থেকে
advertisement
গভীর তীব্রতার এক্সারসাইজের ফলে ওভারট্রেনিং সিন্ড্রোমের ঝুঁকি বাড়ে। অতিরিক্ত এক্সারসাইজ হৃদযন্ত্রের ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেম অস্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দেয়। যার ফলে অ্যারিদমিয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। যদিও এই অবস্থা বিনাইন, কিন্তু কখনও কখনও গুরুতর আকার লাভ করতে পারে। যাঁদের হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাঁদের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।
আরও পড়ুন: ইলিশ কি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল? জানলে অবাক হবেন ইলিশ শুধু স্বাদে নয়, গুণেও ফাটাফাটি
কী কী করণীয়?
এক্সারসাইজের উপযোগিতা গ্রহণের পাশাপাশি হৃদযন্ত্রকেও সুরক্ষিত রাখতে হবে। তার জন্য নিরাপদ এক্সারসাইজ রুটিন মেনে চলা জরুরি। নিম্নোক্ত এই কাজগুলি করতে হবে।
১. আচমকা এক্সারসাইজের তীব্রতা বাড়ানো উচিত নয়। তা বাড়ানোর থাকলে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করতে হবে। অতিরিক্ত পরিশ্রম থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
২. শরীর কী চাইছে, সেটা বোঝাটাও সমান ভাবে জরুরি। অতিরিক্ত ক্লান্তি, কাজে অনীহা অথবা রেস্টিং হার্ট রেট বৃদ্ধির মতো লক্ষণ দেখা গেলে সাবধান হতে হবে। এই উপসর্গ দেখা গেলে বিশ্রাম নিতে হবে।
৩. তীব্র ওয়ার্কআউটের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বিশ্রামও জরুরি। পেশির আরোগ্যের জন্য এটা করা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া এতে হরমোনজনিত ভারসাম্য এবং কার্ডিওভাস্কুলার স্বাস্থ্যও বজায় থাকে।
৪. ব্যালেন্সড এক্সারসাইজ রুটিন মেনে চলতে হবে। নানা ধরনের এক্সারসাইজ সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। স্ট্রেংগথ ট্রেনিং, ফ্লেক্সিবিলিটি এক্সারসাইজ-সহ কার্ডিওভাস্কুলার এক্সারসাইজও করতে হবে।
৫. নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে হবে। তাই এক্সারসাইজ শুরুর আগে আর পরে তো বটেই, এমনকী এক্সারসাইজ চলাকালীনও জল পান করতে হবে।
৬. এক্সারসাইজের সময় বুকে ব্যথা, বুক ধড়ফড় করা, শ্বাসকষ্ট অথবা মাথা ঘুরলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে। মেডিকেল বিশেষজ্ঞদের কাছে যাওয়া আবশ্যক।