তারুণ্যের প্রান্তে পৌঁছন নাজনিন নিজের পরিচয় দেন একজন রূপান্তরকামী হিসেবে। জানিয়েছেন তাঁর বয়স যখন কুড়ির কোঠায় পৌঁছয়, তখন তিনি নিয়মিত দাড়ি প্লাক করতেন। যেমন করে সাধারণত ভুরু প্লাক করা হয়। কিন্তু একটা সময়ে পৌঁছে তিনি সেটাও বন্ধ করে দেন। বরং আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠার পথে অবলম্বন করেন দাড়িকেই।
advertisement
আরও পড়ুন : কম্পিউটার এবং ল্যাপটপের বাংলা কী বলুন তো? উত্তর দিতে ব্যর্থ ৯৯% মানুষই
দাড়িকে বাড়তে দিলেন নাজনিন। করে নিলেন নিজের রূপের অঙ্গ। এর ফলে তাঁর সময় এবং অর্থ-বাঁচল দুইই। অবশেষে দাড়িই হয়ে গেল তাঁর পরিচিতি। এখন নিজের সেক্সুয়াল আইডেন্টিটি গোপন করেন না তিনি। বলেন তিনি একইসঙ্গে পুরুষ এবং নারী দুই-ই। কিন্তু তাঁর এই উত্তরেও সন্তুষ্ট হন না অনেকে। জানতে চান তাঁর জন্মের সময় কী লিঙ্গ ছিল।
এখন বক্রোক্তিতে তাঁর খারাপ লাগে না। বরং তাঁর গর্ব হয় যখন তিনি কারওর কাছে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠেন। তাঁকে দেখেই কেউ ঠিক করেন তিনি যেমন, তেমন ভাবেই থাকবেন। তাঁর সব সিদ্ধান্তে পাশে পেয়েছেন পার্টনার কায়রোকে। তিনি তাঁর যাত্রাপথের সঙ্গী হয়েছেন এবং আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছেন সঙ্গীকে।