আরও পড়ুন-কাল থেকে বৃষ্টি শুরু, আগামী ক’দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জেনে নিন
দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। কিন্তু দুধে অনেকেরই সমস্যা থাকে। দুধে অনেকেই গন্ধ পান যা দুধ পান করার সময় বমির উদ্রেক করে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা একদমই দুধ পান করতে চায় না। আবার বয়স্ক মানুষদের দুধ থেকে গ্যাসের সমস্যা হয়। ফলে তাঁরাও দুধ এড়িয়ে চলেন। কেউ কেউ আবার জন্ম থেকেই ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট হয়। অর্থাৎ এঁদের দুধ বা দুধের কোনও প্রডাক্ট সহ্য হয় না। তবে এতে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। দুধ ছাড়াও ক্যালসিয়ামের অন্যান্য প্রাকৃতিক উৎস আছে (Calcium-rich foods )।
advertisement
কেন গুরুত্বপূর্ণ ক্যালসিয়াম?
আমাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি শুধু আমাদের শরীরের হাড় শক্ত করে তাই নয়। এটি পেশির নড়াচড়া এবং স্নায়ুতন্ত্রকে সঠিক রাখতেও সাহায্য করে।
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে কী হয়?
দীর্ঘদিন ধরে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে তাকে হাইপোক্যালসেমিয়া বলে। এর ফলে অস্টিওপোরোসিস, ছানি, দাঁতের সমস্যা এবং মস্তিষ্কের সমস্যা দেখা দেয়।
বীজ
তিল, পোস্ত জাতীয় ছোট্ট বীজে থাকে প্রচুর পুষ্টিগুণ। ১ টেবিল চামচ পোস্ত দানায় থাকে ১২৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম।
আমন্ড
১০০ গ্রাম আমন্ড বাদামে থাকে ৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। এছাড়াও এতে থাকে মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা শরীর গঠনের জন্য ভালো।
বিনস
১০০ গ্রাম বিনসে থাকে ১১৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম।
ডাল
ডাল শুধু শরীরে প্রোটিন জোগায় তা নয়। এর মধ্যে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। ১০০ গ্রাম ডালে থাকে ১৯ গ্রাম ক্যালসিয়াম।
আরও পড়ুন-ফ্রিজে রাখা খাবার খেয়ে রক্ত জমাট বাঁধল যুবকের, শেষ পর্যন্ত পা কেটে বাদ দিলেন চিকিৎসকরা!
আমারান্থ
আমারান্থ রামদানা বা রাজগিরা নামেও পরিচিত। প্রতি ১০০ গ্রাম আমারান্থে ৩৩০ গ্রাম করে ক্যালসিয়াম থাকে।
টফু
১০০ গ্রাম তোফুতে থাকে ৬৮০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। এটা কাঁচা খাওয়া যায় বা প্যান ফ্রাই করেও খাওয়া যায়। তোফু বেশি রান্না করলে এর গুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই বেশি রান্না না করাই ভালো।
সোয়া মিল্ক
১০০ গ্রাম সয়া দুধে থাকে ২৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম।