ওবম্যানের বক্তব্যে বিতর্কের উপাদান রয়েছে। কিন্তু এটাও ঠিক যে শুধু এই দেশ নয়, পাশাপাশি পৃথিবীর অনেক দেশেই বোরখা পরা আইনত নিষিদ্ধ। দেখে নেওয়া যাক, সেই তালিকায় কোন কোন দেশ রয়েছে!
১. ফ্রান্স
২০১০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরে ফরাসি পার্লামেন্টে বিল পাস হয়েছিল। তার পর ২০১১ সাল থেকে ফ্রান্সে পাবলিক প্লেসে মুখ ঢাকা নিষিদ্ধ হয়ে যায়। শুধু বোরখা বা নকাব নয়, এই তালিকায় হেলমেট এবং ভিক্টোরিয় যুগের ইয়োরোপিয়ান ভেইলকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। অর্থাৎ পাবলিক প্লেসে থাকলে আত্মপরিচয় গোপন করা চলবে না। যদিও বিরোধীরা বলেছিলেন যে ইসলামের সংস্কৃতিকে কোণঠাসা করার জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
advertisement
২. বেলজিয়াম
এই দেশের জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিমের সংখ্যা মাত্র ১ মিলিয়ন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী এঁদের মধ্যো বড় জোর ৩০০ জন বোরখা পরেন। কিন্তু ২০১১ সালে বেলজিয়ামেও বোরখা পরা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় আইন প্রয়োগ করে। অন্যথায় সাত দিনের জেল বা জরিমানার নিয়ম বলবৎ হয়।
৩. ডেনমার্ক
২০১৮ সালের অক্টোবরে পাবলিক প্লেসে বোরখা পরার প্রচলন আইন করে উঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব আনা হয় এবং তা কার্যে পরিণত হয় পরের বছর থেকে। নিয়ম মেনে না চললে ডেনমার্কে ১৩৫ ইউরো অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১২ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়।
৪. অস্ট্রিয়া
২০১৭ সাল থেকে অস্ট্রিয়া আইন করে দেয় যে পাবলিক প্লেসে সবাইকে কপাল থেকে চিবুক পর্যন্ত মুখ দেখাতেই হবে। নিয়ম ভাঙলে ১৫০ ইউরো বা ভারতীয় মুদ্রায় ১৩ হাজার টাকার অল্প বেশি জরিমানার রেওয়াজ আছে।
৫. বুলগেরিয়া
২০১৬ সাল থেকে এই দেশেও বোরখা পরা আইনত নিষিদ্ধ, আইন ভাঙলে ৭৫০ ইউরো বা ভারতীয় মুদ্রায় ৬৫ হাজার টাকার কাছাকাছি জরিমানা দিতে হয়। অবশ্য প্রার্থনাসভা বা এই জাতীয় কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয় দেশবাসীর বোরখা পরার স্বাধীনতাকে।
৬. নেদারল্যান্ডস
একটানা ১৪ বছরের বিতর্কের পর অবশেষে এই দেশেও বোরখা পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে আইন করে। যা লঙ্ঘণ করলে ১৫০ ইউরো বা ভারতীয় মুদ্রায় ১৩ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়া বাধ্যতামূলক।