বৌদ্ধ ধর্মে এরকম চর্চা চলছে অনেক আগে থেকেই ৷ এমনকী, জাপান, চীন, থাইল্যান্ডেও এরকম অভ্যাস রয়েছে ঘরে ঘরে ৷ ব্যাপারটি আর কিছুই নয় ৷ এতদিন ডাক্তাররা বলতেন, যত পারুন, সবজি খান ৷ আর এখন তাঁরাই বলছেন খাবেন তো অবশ্যই ৷ সঙ্গে সবজিকে পুড়িয়ে ফেলুন ৷
তবে এই ধরণের চর্চা শুধুমাত্র আয়ূর্বেদ চর্চাতেই ঘটে থাকে ৷ আয়ূর্বেদ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শরীর থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য শাক-সবজি খাওয়া অত্যন্ত জরুরী ৷ কিন্তু সে সঙ্গে আপনি যে বাড়িতে বাস করেন, যে ঘরের মধ্যে বেশিরভাগ সময় কাটান, সেই পরিবেশকেও সুস্থ রাখা আপনার দায়িত্ব ৷
advertisement
বৌদ্ধ চর্চায় এই নেগেটিভ এনার্জি বিশেষ করে ব্যাকটেরিয়াকে দূর করার জন্য বিশেষ এক ধূপ ব্যবহার করা হয় ৷ এই ধূপ আসলে নাকি ভুট্টার বীজ ! যাকে জ্বালিয়ে সেই ধোঁয়া ঘরে মধ্যে ছড়িয়ে দিলে ব্যাকটেরিয়া দূর হয় ৷
গবেষকরা বলছেন, শুধু ভুট্টার বীজ নয় ৷ নিমপাতা, তেজপাতা জ্বালিয়ে নিয়মিত যদি ঘরে তার ধোঁয়া ছড়ানো যায়, তাহলে ব্যাকটেরিয়া দূর হওয়া সম্ভব ৷ শুধু নিমপাতা, তেজপাতা নয়, এমনকী গবেষকরা বলছেন সরষে, জিরে আগুনে পুড়িয়ে সেই ধুঁয়ো ঘরে ছড়িয়ে দিলও উপকার পাওয়া যায় ৷
ধুনো দেওয়ার রীতি তো অনেক দিন আগে থেকেই রয়েছে বহু বাড়িতে ৷ এই ধুনো দেওয়ার পিছনেও রয়েছে এই ব্যাকটেরিয়া দূর করার এক পদ্ধতি ৷
গবেষণা অনুযায়ী, এই সবজি পুড়িয়ে তার ধোঁয়া ছড়িয়ে যাওয়া বেশ জনপ্রিয় চীন ও জাপানে ৷ এমনকী, সেখানে রীতিমতো অনুষ্ঠান করে পোড়ানো হয় কাচা সবজি !