ব্রেকফাস্ট মেকওভার:
বেভজিল্লা কফির সহ-প্রতিষ্ঠাতা দিভিশা চৌধুরি বলেন, বুলেটপ্রুফ কফি আবার বাটার কফি নামেও পরিচিত। চিরাচরিত ব্রেকফাস্টের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। কারণ এর মধ্যে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম। এটা মূলত উচ্চ মানের কফি, আনসল্টেড মাখন, মিডিয়াম-চেন ট্রাইগ্লিসারাইড অয়েলের একটা অনন্য ব্লেন্ড দেয়।
বুলেটপ্রুফ কফির উৎপত্তি:
এই কফির ধারণাটি এসেছে মূলত ৫৭৫-৮৫০ সিই নাগাদ ইথিওপিয়ার গাল্লা উপজাতির যাযাবর পার্বত্য যোদ্ধাদের সময় থেকে। সেই যোদ্ধারা পেষাই করা কফি বিনের সঙ্গে অ্যানিম্যাল ফ্যাট মিশিয়ে পান করতেন। এটা স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া হত, আবার তাঁদের দেহে এনার্জির চাহিদাও মেটাত বুলেটপ্রুফ কফি।
advertisement
এই কফির নানা বিষয়:
কার্বোহাইড্রেট-সমৃদ্ধ ব্রেকফাস্টের পরিবর্তে বুলেটপ্রুফ কফি আনা হয়েছে। এটি খাওয়ার ফলে দেহে ফ্যাট বার্ন হবে। আসলে মাখন এবং এমসিটি অয়েলে থাকা ফ্যাট পেট অনেকক্ষণ ভরিয়ে রাখে। যার জেরে বারবার খিদেও পায় না। আর শরীরে পর্যাপ্ত এনার্জিও থাকে। আবার কিটোজেনিক ডায়েটের সঙ্গেও দিব্যি রাখা যেতে পারে বুলেটপ্রুফ কফিকে।
আরও পড়ুন : দূরে থাকবে চোখের রোগ! ওজন কমবে নিমেষে! নিয়মিত খান কাঁচা আম
উপকারিতা:
বুলেটপ্রুফ কফির উপকারিতা প্রসঙ্গে কথা বলছেন ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার নিকিতা মোহন। তাঁর বক্তব্য, ফিটনেট এন্থুজিয়াস্ট এবং ক্রীড়াবিদদের ক্ষেত্রে জরুরি এই পানীয়। দেখে নেওয়া যাক এর উপকারিতাগুলি।
এনার্জি বৃদ্ধি:
কফি, ফ্যাট এবং অন্যান্য উপকরণ দিয়ে তৈরি বুলেটপ্রুফ কফি শরীরের এনার্জি বাড়ায়। এমনকী ওয়ার্কআউট কিংবা শারীরিক কসরতের সময় দেহে শক্তিরও সঞ্চার ঘটায়।
মনোযোগের উন্নতি:
এই কফিতে থাকা এমসিটি মনোযোগ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এমনকী এটি সেবন করলে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগার সমস্যাও দূর হয়।
সহনশীলতা বৃদ্ধি:
এই পানীয়টি পান করলে ক্রীড়াবিদরা দীর্ঘ সময় শারীরিক কসরত করে যেতে পারেন অনায়াসে। আবার চোট পেলেও তা সারে দ্রুত।
ওজন নিয়ন্ত্রণ:
বুলেটপ্রুফ কফির মধ্যে থাকা ফ্যাট অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে ক্যালোরিও থাকে নিয়ন্ত্রণে। এর পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি আর মেজাজ ভাল রাখতেও এই পানীয়ের জুড়ি মেলা ভার। তবে ডায়েটে যোগ করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।