সম্প্রতি ব্রায়ান তাঁর ওয়েবসাইটে, নিজের অত্যাধুনিক ফিটনেস ডিভাইসের ছবি প্রকাশ করেছেন। তাঁর দাবি, এটি মাত্র ৩০ মিনিটে তাঁর শরীরকে এমন সুডৌল করে তোলে যা পেতে অন্তত ২০ হাজার সিট-আপ করা দরকার।ক্যালিফোর্নিয়ার ‘টেক-বিলিয়নেয়ার’ ব্রায়ানের দাবি, তিনি ‘Project Blueprint’-এর মাধ্যমে নিজের এপিজেনেটিক বয়স ৫.১ বছর কমিয়েছেন। এজন্য তাঁকে মেনে চলতে হয় কঠোর নিয়ম আর খেতে হয় ভেগান ডায়েট।
advertisement
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম রিল ভিডিওতে, ব্রায়ান তাঁর ফিটনেস ডিভাইসটি প্রদর্শন করেন। দেখা যায়, পেটের চারপাশে একটি বেল্ট বেঁধে একটি বেঞ্চে শুয়ে আছেন তিনি। বেল্টের সঙ্গে যুক্ত একটি ডিভাইস এবং তার সঙ্গে যুক্ত একটি স্ক্রিন। মেশিনটি কী ভাবে কাজ করে তাও ভিডিও-য় দেখিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : 'বিয়ের' আগেই ঘনিষ্ঠ জনের সঙ্গে লন্ডনে ছুটি কাটাচ্ছেন পরিণীতি, তাঁর সঙ্গে কে আছেন
সঙ্গে জানিয়েছেন তাঁর কোর মাসল অসম্ভব শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এও জানিয়েছেন প্রাথমিক ভাবে তিনি ওই মেশিন ব্যথা দিতে পারে বলে ভেবেছিলেন, কিন্তু তেমন কিছুই হয়নি। ব্রায়ান লিখেছেন, "আমি অ্যান্টি-এজিং প্রোটোকল তৈরি করতে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করছি। আজ, এমন একটি মেশিনের দেখাব যা ৩০ মিনিটে ২০ হাজার সিট-আপের সমান শরীর তৈরি করে দেবে।"
ব্রায়ান প্রতিদিন ১,৯৭৭ ক্যালোরি গ্রহণ করেন তাঁর ডায়েটে, এক ঘণ্টা ব্যায়াম করেন এবং প্রতি রাতে একই সময়ে ঘুমাতে যান। ভোর ৫টায় শুরু হয় দিন। তখন তিনি গ্রহণ করেন দুই ডজন সাপ্লিমেন্ট। সঙ্গে থাকে ক্রিয়েটাইন এবং কোলাজেন পেপটাইড সমৃদ্ধ একটি সবুজ জুস।
নিয়মিত আল্ট্রাসাউন্ড, এমআরআই, কোলোনোস্কোপি এবং নানা ধরনের রক্ত পরীক্ষা করা হয়। তাঁর ওজন, BMI, মেদের পরিমাণ, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা এবং হার্ট-রেটের পরিবর্তনগুলি প্রতিদিন পরিমাপ করা হয়। একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, একটি যন্ত্র তার রাত্রিকালীন ইরেকশনও পরিমাপ করে। দাবি, তা না কি একেবারে একটি ১৮ বছরের সদ্যযুবার মতো।
কিন্তু এভাবে কি বাঁচা যায়!
Blueprint ওয়েবসাইটে ব্রায়ান নিজেই লিখেছেন, "আমি যা করি তা হয়তো বাড়াবাড়ি। কিন্তু প্রমাণ করাতে চাইছি, নিজেকে তিলে তিলে শেষ করে দেওয়া অনিবার্য নয়।"
জানিয়েছেন, একটা সময় চূড়ান্ত সাফল্য সত্ত্বেও সন্ধ্যের পর নিজেকে এক আত্মবিধ্বংসী জীবনের দিকে ঠেলে দিতেন তিনি। তা থেকে মুক্তি পেতেই এই প্রণোদনার প্রয়োজন ছিল!