উপসর্গ—
স্তনের একপাশে মাংস পিণ্ডের গঠন এই রোগের প্রধান লক্ষণ।
এছাড়া, স্তনের আকার বা আকৃতির পরিবর্তন, স্তনে ব্যথাহীন পিণ্ড, স্তনের উপর বা চারপাশে লালচে ভাব বা ফুসকুড়ি, স্তন বা বগলে ক্রমাগত ব্যথা, স্তনবৃন্তের আকৃতি পরিবর্তন, নরম ভাব, জ্বালাযন্ত্রণার লক্ষণ থাকতে পারে।
স্তন ক্যানসারের বিভিন্ন পর্যায় হয়ে থাকে। যেমন,
advertisement
পর্যায় ১: এতে ক্যানসার কোষ একটি ছোট এলাকায় আশপাশের টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে।
পর্যায় ২: টিউমার হতে পারে ২০-৫০ মিমি-এর মধ্যে। কিছু লিম্ফ নোড জড়িত থাকতে পারে। ৫০ মিমি থেকে বড় টিউমারগুলিতে লিম্ফ নোড জড়িত থাকে না।
আরও পড়ুন: ভারতের অন্যতম দামি উকিল, তৃতীয়বার বিয়ে ৬৮-র হরিশ সালভের! লন্ডনের রিসেপশনে ললিত মোদিও
পর্যায় ৩: কিছু ক্ষেত্রে, টিউমার একেবারেই নেই। ক্যানসার ত্বক বা বুকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
পর্যায় ৪: ক্যানসার স্তন ছাড়িয়ে শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়েছে।
স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি কাদের?
১. সাধারণত বয়স্ক মহিলাদের মধ্যেই এই রোগের প্রবণতা বেশি।
২. ধূমপানের অভ্যাস থাকলেও ঝুঁকি বাড়ে।
৩. স্তন ক্যানসার বা অন্যকোনও স্তন-রোগের ইতিহাস থাকলে।
৪. BRCA2, BRCA1 জিনে মিউটেশনের উত্তরাধিকার স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
৫. যেসব মহিলা বন্ধ্যা বা ৩০ বছর বয়সের পর প্রথম গর্ভধারণ করেছেন তাঁদেরও ঝুঁকি বেশি।
আরও পড়ুন: রাস্তা-ঘাটে-বনে-বাদাড়ে অতি পরিচিত এই শাক মারণরোগ সারাতে অব্যর্থ, উপকার জানলে চমকে যাবেন!
প্রতিরোধের উপায়—
স্তনের আকারে কোনও পরিবর্তন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪০ বছরের ঊর্ধ্বে মহিলাদের একবার ম্যামোগ্রাম পরীক্ষা করা উচিত।
খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি এবং ফলমূল রাখতে হবে। নির্দিষ্ট ওজন বজায় রাখতে হবে।
নতুন মায়েদের অন্তত এক বছর সন্তানকে স্তন্যদান করতে হবে।
অতিরিক্ত মদ্যপান বা ধূমপান এড়িয়ে চলতে হবে।
স্তন ক্যানসারের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলেও আশার আলো দেখাচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞান। চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে গত কয়েক বছরে। ফলে সচেতনতা থাকলে, নিজের যত্ন নিলে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।