চিকিৎসকরা প্রতি বছর ম্যামোগ্রাফি স্ক্রিনিং-এর সুপারিশ করেন। তবে প্রতিটি মাসিক চক্রের ছ’দিনের মধ্যে হাত দিয়ে স্তন পরীক্ষা করার পরামর্শও দেওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে দুই থেকে তিন সেন্টিমিটার আকারের টিউমার ধরা পড়তে পারে।
পুণের সহ্যাদ্রি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মেডিক্যাল অনকোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. তুষার পাতিল বলেন, ‘স্ব-পরীক্ষার জন্য আদর্শ সময় হল মাসিক চক্রের প্রথম সপ্তাহ। এই সময় স্তনের কোমলতা সাধারণত কম থাকে। কীভাবে এই পরীক্ষা করতে হবে তা ইন্টারনেট থেকে দেখে নেওয়া যেতে পারে।’
advertisement
আরও পড়ুন: এমনই ভরসা, না দেখেই ফাইলে সই জ্যোতিপ্রিয়র, বাকিবুরের আর কত সম্পত্তি বাকি? মাথায় হাত ইডি-রও
এই স্তন পরীক্ষা আয়নার সামনে শুরু করা উচিত বলে তিনি জানান। প্রথমে ভাল করে চোখে দেখতে হবে। স্তনবৃন্তের অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে কিনা, অস্বাভাবিক ঘন হওয়া বা লাল হয়েছে কিনা ইত্যাদি। এরপর স্তনকে সাবধানে অনুভব করতে হবে হাতের তালু দিয়ে। প্রতি মাসেই এই পরীক্ষা করে নেওয়া দরকার।
৪০ বছর কম মহিলাদের ম্যামোগ্রাফি করার সুপারিশ করা হয় না। তাঁদের জন্য এই স্ব-পরীক্ষা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ম্যামোগ্রাফি খুব ঘন ঘনও করা সম্ভব হয় না।
আরও পড়ুন: খুব ইচ্ছে ছিল পার্থর, বাধ সাধেন জ্যোতিপ্রিয়! গ্রেফতার দুই নেতার ‘লড়াইয়ে’ নেত্রী হওয়া হল না অর্পিতার
শালিমার বাগের ম্যাক্স সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ক্যানসার কেয়ার বিভাগের সিনিয় ডিরেক্টর ডা. সজ্জন রাজপুরোহিত বলেন, ‘প্রতি মাসে একই সময়ে স্ব-পরীক্ষা করা দরকার। মাসিকের কয়েক দিন পরই এটা করা দরকার। মেনোপজ হয়ে থাকলে প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট তারিখ বেছে রাখাই ভাল।
প্রথমে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আকার, আকৃতি, বা ত্বকের কোনও পরিবর্তন হয়েছে কিনা তা দেখে নিতে হবে। যেকোনও ডিম্পলিং, পাকারিং বা লালভাব থাকলে গুরুত্ব দিতে হবে। এরপর নিজের মাথার উপর আপনার তুলে দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে।
এছাড়া, ডান কাঁধের নীচে একটি বালিশ এবং মাথার পিছনে ডান হাত দিয়ে শুয়ে পড়তে হবে। নিজের ডান স্তন পরীক্ষা করতে হবে বাম হাত দিয়ে।
কোনও রকম পরিবর্তন, কোনও লাম্প বা ঘনত্ব অনুভব করা যায় তাহলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
স্তনের বোঁটা আলতো করে চেপে দেখতে হবে কোনও স্রাব নির্গত হচ্ছে কিনা। বা কোনও পিণ্ড রয়েছে কিনা। অথবা আকৃতি পরিবর্তন হয়েছে কিনা।