কিন্তু তাঁরা ভুল করেন। আসলে সকালের খাবার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার প্রাতঃরাশে রাখা খুবই জরুরি। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মেটাবলিজম বাড়ে। সব দিক থেকে সুস্থ থাকা যায়।
আরও পড়ুনঃ বাসন মাজলেই হাতে চুলকানি বা খসখসে ভাব? জানুন যত্নের টিপস
ডায়েটিসিয়ন ডা. মৃদুলা বিভা বলেন, নিয়মতি প্রাতরাশ না করলে তা স্বাস্থ্যের উপর খুবই খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তার ফলে নানা ধরনের গুরুতর রোগের আশঙ্কাও তৈরি হয় শরীরে। শুধু শারীরিক নয়, প্রাতরাশ না করলে কোনও মানুষের মানসিক সমস্যাও হতে পারে। তার ফলে দৈনন্দিন রুটিন এবং কর্মদক্ষতাও প্রভাবিত হতে পারে। পেট যথেষ্ট ভরা না থাকলে শারীরিক শক্তি হ্রাস পাবে, তার ফলে মানসিক ভাবে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কাও তৈরি হতে পারে। সকালের খাবারটুকু না খেলে সারাদিনের বিপাক ক্রিয়াও প্রভাবিত হতে বাধ্য। আর তার ফল হবে উল্টো। অর্থাৎ, যাঁরা ওজন কমাবেন বলে খাবার বাদ দিচ্ছিলেন, তাঁদের আরও ওজন বেড়ে যাবে। এমনকী মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, হৃদরোগের আশঙ্কাও তৈরি হতে পারে।
advertisement
কী খাওয়া উচিত—
হাই প্রোটিন এবং হাই ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবার সকালে খাওয়া উচিত।
• ডালিয়া বা ডালিয়া থেকে তৈরি খাবারে প্রচুর পুষ্টি থাকে। এর ফাইবার টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থেকেও রক্ষা করে।
• বেসন এবং মুগ ডাল দিয়ে তৈরি চিল্লা বা গোলারুটি খাওয়া যেতে পারে। মুগ ডাল খুবই স্বাস্থ্যকর। এতে থাকে কপার, ফোলেট, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন, ভিটামিন সি, ফাইবার, পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি-৬, নিয়াসিন, থায়ামিন। শরীরের জন্য খুবই ভাল।
• সকালের জলখাবারে ডিম রাখা খুবই স্বাভাবিক। এতে প্রোটিনের পাশাপাশি সেলেনিয়াম এবং কোলিনের মতো পুষ্টি উপাদানও রয়েছে। হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধ করে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে ডিম।
• বাদামে প্রোটিনের পাশাপাশি ফাইবার এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা খুবই উপকারী।
• আজকাল, ওটস খুব জনপ্রিয়। এই খাবার তৈরি করা সহজ। ওটসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।