ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ওটস একটি চমৎকার জলখাবার হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। ওটসে দ্রবণীয় ফাইবার বেশি থাকে, যা রক্তে শর্করার দ্রুত বৃদ্ধি রোধ করে। ওটস ধীরে ধীরে হজম হয়, যা দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। দুধ বা জলে ফুটিয়ে এবং তাতে দারচিনি, তিসির বীজ এবং কিছু কাটা বাদাম যোগ করে আপনি একটি স্বাস্থ্যকর টিফিন তৈরি করতে পারেন।
advertisement
ডায়াবেটিস রোগীরা সকালের জলখাবারে ডিম খেতে পারেন। ডিম উচ্চমানের প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং রক্তে শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত না করেই শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। সিদ্ধ ডিম, অমলেট অথবা ভেজ ডিমের ভুর্জি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দারুণ জলখাবারের বিকল্প। প্রোটিন বিপাক উন্নত করে এবং দীর্ঘ সময় খিদে রোধ করে।
ডায়াবেটিস রোগীরা সকালের টিফিনে মুগ ডাল চিলা খেতে পারেন। চিলা কেবল আপনাকে পুষ্টিই দেবে না বরং দীর্ঘ সময় ধরে আপনার চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। মুগ ডাল প্রোটিন এবং ফাইবারের একটি ভালো উৎস। মুগ ডাল চিলা তৈরি করা সহজ এবং এটি দ্রুত হজম হয়। পেঁয়াজ, টম্যাটো, ধনেপাতা এবং হালকা মশলা যোগ করে আপনি একটি সুস্বাদু এবং ডায়াবেটিস-বান্ধব টিফিন তৈরি করতে পারেন। এটি আরও স্বাস্থ্যকর রাখতে কম তেলে বেক করুন।
আরও পড়ুন : রোজ কিশমিশ খেলে কী হবে? মহিলারা অতি অবশ্যই এটা পড়ুন দু’বার…নয়তো…
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দই বা দইও একটি ভাল টিফিন হিসেবে বিবেচিত হয়। ঘরে তৈরি সাধারণ দই কেবল প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ নয়, এটি হজমশক্তি উন্নত করতে এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। আপনি এতে কিছু চিয়া বীজ এবং কাটা শসা যোগ করতে পারেন এবং এটি স্বাস্থ্যকর পরোটা বা রুটির সাথে খেতে পারেন। এছাড়াও, বাদাম, আখরোট, চিয়া বীজ এবং তিসির বীজের মতো বাদাম এবং বীজ ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। সকালে ৫-৬টি ভেজানো বাদাম বা চিয়া জল পান করা খুবই উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীদের সকালে উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত ফল এড়িয়ে চলা উচিত, তবে আপেল, পেয়ারা, বেরি এবং পেঁপের মতো ফল খেতে পারেন।
