নানা রোগের প্রতিকার করতে একদম ওষুধের মতো কাজ করে এই ভেষজ। কিন্তু কালো হলুদের সম্পর্কে কি কেউ কিছু শুনেছেন! আসলে অধিকাংশ মানুষই এই হলুদের বিষয়ে কিছুই জানেন না।
মজার বিষয় হল, কালো হলুদও অত্যন্ত উপকারী। তা ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ। এটি কালো সোনা নামেও পরিচিত। এটি নিয়মিত সেবন করলে চর্মরোগ, চুলকানি, আলসার, কোলন ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
advertisement
আরও পড়ুন- প্রথম তিন দিন প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা, বইবে ঝোড়ো হাওয়া, ভাসবে কানপুর টেস্ট!
কালো হলুদের মধ্যে থাকা মূল যৌগ কারকিউমিন অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে ভরপুর। ফলে এটি একটি কার্যকর প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
কালো হলুদ প্রদাহ কমাতে এবং মৃত কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়ক। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, কালো হলুদ খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
এটি ত্বকের একাধিক সমস্যা যেমন – চুলকানি এবং অ্যালার্জি কমাতে সাহায্য করতে পারে। সেই সঙ্গে এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সহায়ক।
বিজ্ঞানীরা যা বলেন:
বিহারের সমস্তিপুর জেলার পুসার ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ সেন্ট্রাল এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির মেডিসিনাল প্ল্যান্ট ইনচার্জ বিজ্ঞানী ড. দীনেশ রাই Local 18-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় জানান যে, কালো হলুদ আসলে একধরনের হলুদ। যা ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশের ফিল্ডিং সাজিয়ে দিয়েছিলেন কেন? মন জয় করা জবাব দিলেন ঋষভ পন্থ
রান্না করার সময় যদি এটি খাবারে যোগ করা হয়, তবে এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী বলে প্রমাণিত হতে পারে। তিনি বলেন যে, কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কালো হলুদ নিয়মিত সেবন করলে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। কারণ এর প্রাকৃতিক উপাদান ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কালো হলুদ অন্তর্ভুক্ত করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য তা অত্যন্ত উপকারী বলে প্রমাণিত হতে পারে। এটি দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। কিংবা স্যালাড এবং তরকারিতেও তা যোগ করা যায়।
কালো হলুদ স্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনে দারুণ সহায়ক। তিনি আরও বলেন যে, কালো হলুদ অস্টিওআর্থারাইটিস, ত্বকের চুলকানি, আলসার, কোলন ক্যানসারের মতো রোগ নিরাময়েও বেশ উপকারী।