বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার সহ বিভিন্ন রাজ্য সরকার ঐতিহ্যবাহী চাষের পাশাপাশি ঔষধি ফসলের চাষের প্রচারে কৃষকদের সাহায্য করছে। এর জন্য কৃষকদের ভর্তুকির সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে। ঔষধি ফসল চাষে সরকার ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়ে থাকে। এমতাবস্থায় ঔষধি ফসল চাষ করে কৃষকরা তাঁদের আয় বাড়াতে পারেন।
আরও পড়ুন: শাহরুখের উপর রাগে জিন্স ছিঁড়ে ফেলেন সানি, ২০ বছর ধরে তাঁদের কথা বন্ধ! কী হয়েছিল সেদিন?
advertisement
যে সব ঔষধি ফসলের জন্য কৃষকরা ভর্তুকি পান, কালো হলুদ তাদের মধ্যে অন্যতম। যে কেউ এটি চাষ করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন। বাজারে এর চাহিদাও অনেক। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই কৃষকরা খারিফ মরসুমে সহজ উপায়ে কালো হলুদ চাষ করছেন।
আরও পড়ুন: নাগ পঞ্চমীতে জ্যান্ত সাপকে দুধ খাওয়ানো উচিত না, সাতপুরুষ দোষের অংশীদার হবে! জানুন
হলদোয় নি ফরেস্ট রিসার্চের ফরেস্ট অফিসার মদন সিং বিস্ত জানিয়েছেন, লালকুয়াঁ ও হলদোয়ানি ফরেস্ট রিসার্চ সেন্টারে এই কালো হলুদের চারা রয়েছে এবং কৃষকরা যদি এই ঔষধি গাছের চাষ করেন তাহলে সেই কৃষকরা দ্বিগুণ লাভ করতে পারবেন। সেই সঙ্গে বাজারে কালো হলুদের চাহিদাও ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। আয়ুর্বেদের অনেক ওষুধ তৈরিতে এই কালো হলুদ ব্যবহার করা হয়। তিনি আরও বলেন, কালো হলুদ নিউমোনিয়া, কাশি, জ্বর, হাঁপানি বা ক্যানসারের মতো অনেক রোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। ওষুধ ছাড়াও এটি অনেক প্রসাধনী পণ্যেও ব্যবহৃত হয়।
কালো হলুদ এর অসাধারণ গুণাবলীর কারণে বিদেশেও বিখ্যাত। এটি প্রধানত প্রসাধনী এবং নিরাময়মূলক উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়। কালো হলুদে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান। এটি ক্ষত, চর্মরোগ, হজম এবং লিভারের সমস্যা সারাতে ব্যবহৃত হয়। অন্য দিকে, এটি কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে।
বাজারে কালো হলুদের দাম প্রায় পাঁচশো থেকে পাঁচ হাজার টাকা। ই-কমার্স ওয়েবসাইটে এর দাম প্রায় পাঁচ হাজার টাকা। এমতাবস্থায় কালো হলুদের চাষ কৃষকদের জন্য লাভজনক প্রমাণিত হতে পারে।