১. বাইরে গিয়ে পার্টি করা যখন সম্ভব নয়, তখন পরিবারের সদস্যরা মিলেই মেতে ওঠা যায় হইহুল্লোড়ে, এতে আনন্দও যেমন হবে, তেমনই পারিবারিক বন্ধনটিও সুদৃঢ় হবে। এক্ষেত্রে শুধু পার্টির একটা থিম ঠিক করে নিতে হবে। তাহলেই একঘেয়েমি কেটে গিয়ে জমজমাট হয়ে উঠবে জীবনের বিশেষ দিন, তা সে জন্মদিন হোক কী বিবাহবার্ষিকী!
advertisement
২. এক্ষেত্রে ঘর সাজানোর দিকেও একটু মনোযোগ দিতে হবে। বেলুন, মোমবাতি- হাতের কাছে যা পাওয়া যায়, তাই দিয়েই সাজিয়ে ফেলা যায় ঘর। এতে চির চেনা চার দেওয়ালের মধ্যেই একটা নতুনত্বের আমেজ আসবে, বাড়িতে থাকতেও ভালো লাগবে।
৩. মিষ্টিমুখ ছাড়া বিশেষ অনুষ্ঠানের উদযাপন যেন ফিকে হয়ে আসে। নেট ঘেঁটে নামিয়ে নেওয়া যায় রেসিপি, বানিয়ে ফেলা যায় পছন্দের কেক আর মিষ্টি। দোকানের মতো প্রফেশনাল না হলেও তার স্বাদ অনেকদিন পর্যন্ত স্মৃতিতে থেকে যাবে।
৪. ঠিক এক ভাবে যাঁকে ঘিরে অনুষ্ঠান, তাঁর পছন্দের কয়েকটা ডিশ রান্না করে জমিয়ে তোলা যায় উদযাপন! অন্তরঙ্গদের হাতের ছোঁওয়াতেই সুখাদ্যের স্বাদ বাড়বে কয়েক গুণ বেশি!
৫. পরিবারের সদস্যদের বা বন্ধুদের সবাইকে হাতের কাছে না পাওয়া গেলে মুশকিল আসান করবে ভিডিও চ্যাট রুম। সবাই মিলে আড্ডা আর নানা ইনডোর গেম খেলে মুহূর্তে কাটিয়ে দেওয়া যায় সময়।
৬. যদি শুধুই দু'জনে উদযাপন করতে ইচ্ছা হয়, তাহলে মুভি ডেটের চেয়ে ঘরোয়া উদযাপনের ভালো উপায় আর কিছু হতেই পারে না!
৭. উপহার কিনতেও বাইরে যাওয়ার দরকার কী! নানা হাতের কাজের টুকিটাকি অনলাইনে পাওয়া যায়। সেই সব দেখে একটা উপহার বাড়িতে তৈরি করে তাক লাগিয়ে দেওয়া যায় প্রিয়জনের। আর কিছু না হোক, অন্তত একটা কার্ড হাতে তৈরি করে দেওয়াই যায়, সেটা আজীবন বিশেষ দিনের স্মৃতি ধরে রাখবে।
৮. যদি একটু সাজগোজ করতে ইচ্ছা হয়, তাতেও সমস্যা নেই! নানা পার্লার বাড়িতে গিয়ে সার্ভিস দিচ্ছে, তাদের একটা ফোন করে ডেকে নিলেই হল!
৯. চাইলে কোনও পাঁচতারার Staycation-এও যাওয়া যায়। মানে, এক্ষেত্রে বাইরে না ঘুরে হোটেলের ঘরে স্বাদ নেওয়া হবে বিলাসবহুল জীবনযাত্রার। সেটাও কিন্তু রোজকার একঘেয়েমি কাটিয়ে তুলতে মন্দ কিছু নয়!