কিন্তু এই সাপ্লিমেন্ট কি সব দিক থেকেই আমাদের শরীরে বায়োটিনের অভাব পূরণ করতে সক্ষম? আবার কারও মনে এমনও প্রশ্ন উঠতে পারে এর ফলে শরীরের অন্যান্য ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব পড়ছে না তো? তাহলে আজ জেনে নেওয়া যাক বায়োটিনের উপকারিতা কী এবং এর সেবনে কোনও ঝুঁকি রয়েছে কি না।
বায়োটিনের উপকারিতা
advertisement
হেলথ লাইন আমাদের জানাচ্ছে যে, সাধারণ ভাবে ভিটামিন এইচ-কে বায়োটিন বলা হয়। যাঁদের শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি থাকে, তাঁদের নখ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং চুল পড়তে শুরু করে। তাঁদের ত্বকেও এই অভাব সম্পর্কিত অনেক উপসর্গ দেখা যায়। এর ঘাটতির কারণেও ত্বকে লাল রঙের ফুসকুড়ি দেখা যায়। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছেন, তাঁরা বায়োটিনের পরিপূরক কোনও সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে চুল, নখ এবং ত্বকে অনেকটাই উপকার পাবেন।
বায়োটিনের প্রাকৃতিক উৎস
এবারে আসা যাক বায়োটিনের প্রাকৃতিক উৎসের বিষয়ে। বাজারচলতি সাপ্লিমেন্টের পরিবর্তে আমরা যদি প্রাকৃতিক বায়োটেক গ্রহণ করতে পারি তাহলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য তা উপকারী প্রমাণিত হবে। নিয়মিত ভাবে ডিম, মাংস, কাজু বাদাম এবং সয়াবিন খাওয়া হলে স্বাভাবিক ভাবেই শরীরে বায়োটিনের ঘাটতি পূরণ হয়। যদি এই সব জিনিস খাওয়া সম্ভব না হয়, তবে একমাত্র তখনই এর সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে। বায়োটিনের নিয়মিত সেবন আমাদের ডায়াবেটিস কমাতেও সাহায্য করতে পারে। উপরে উল্লিখিত ডায়েট ছাড়াও কলা, মাশরুম এবং বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণেও বায়োটিন থাকে। এগুলোও নিয়মিত গ্রহণ করলে শরীরে বায়োটিনের ঘাটতি পূরণ হয়।