ফেলু মোদকের কর্ণধার অমিত দে জানাচ্ছিলেন, "এটা সর্ববিদিত যে রবি ঠাকুর ভোজনরসিক ছিলেন আর নিজেও কয়েকটা খাবারের নামকরণ করেছিলেন। যেমন ‘এলোঝেলো’র নাম দিয়েছিলেন ‘পরিবদ্ধ’। যদিও সেটার তেমন ব্যবহার হয়নি। পত্নী মৃণালিনী দেবী রান্নায় হাতের গুণের কথা তো সকলেই জানেন। তিনি যশোরের মেয়ে ছিলেন আর তাঁর অসামান্য হাতের গুণে তিনি মুহূর্তে জয় করে নিয়েছিলেন নাটোরের মহারাজা যোগনিন্দ্র রায়ের মন। তিনি নিজে হাতে বানিয়েছিলেন চিড়ের পুলি , দইয়ের মালপো আর পাকা আমের মিঠাই। তাঁর হাতের মানকচুর জিলিপি নাকি খেতে অসাধারণ হত। যে একবার খেয়েছে সে বারবার সেই সৌভাগ্যের বায়না করত ।
advertisement
মৃণালিনী দেবী যেমন রান্নায় উৎসাহী ছিলেন তেমন লোকেদের দেদার খাওয়াতেও ভালোবাসতেন । কবি গুরুর ‘খামখেয়ালি সভা’র দলের লোকেরা তাঁর হাতের নানা ধরনের নতুন পদ খাবার সুযোগ পেতেন। সে সবগুলোর সৃষ্টিকর্তা কিন্তু কবি নিজে ছিলেন আর নিজে অল্পাহারী হলেও তিনিও লোকজনদের খাওয়াতে খুব ভালবাসতেন।’’
ভাইফোঁটায় সেই পাকা আমের মিঠাইকে ফিরিয়ে এনেছে ফেলু মোদক একেবারে আধুনিক মোড়কে। যেখানে মুখের মধ্যে আম ও ক্ষীরের রসালো লড়াই চলবে। এর জন্য অবশ্য খরচ করতে হবে মাত্র ৩০ টাকা। এর পাশাপাশি আরও এক নতুন ধরণের মিষ্টি এনেছে ফেলু মোদক। নাম দেওয়া হয়েছে মিহিদানা সন্দেশ। অমিত জানাচ্ছিলেন, অনেকেই বলেন পাতে একটা মিষ্টি দিতে। কিন্তু দিদি-বোনেরা আর তা শুনছেন কই। অনেক মিষ্টি ভাইকে উপহার দিতে চান। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এই মিহিদানা সন্দেশ। যার মধ্যে সন্দেশ ও মিহিদানা দুইয়ের মিশ্রণ হাজির। এ ছাড়া অবশ্যই থাকছে চকোলেট ফিউশন, নলেন গুড়ের সন্দেশ, দুধের চমচম।