২০১৮ সালে ইউএসএ-র ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন এর ওপরে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিলেন যেখানে বলা হয়েছে যে মাসিক হওয়া মহিলাদের অবশ্যই জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম এবং কপারের মতো ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার প্রচুর পরিমানে গ্রহণ করা উচিত। যে সমস্ত মহিলাদের এই ধরণের সমস্যা আছে তাদের উচিত ওমেগা -3 ফ্যাট, ভিটামিন ই এবং অন্যান্য মিনারেল যুক্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরপুর বিভিন্ন ধরণের বাদাম এবং বীজ নিজেদের রোজকার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এতগুলো আপনার শরীরে হরমোনাল এক্টিভিটি এবং ওজনের কম বাড়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
advertisement
আসুন এই সুপারফুড বীজগুলি সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক -
কুমড়ো বীজ :
কুমড়োর বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল যেমন ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, জিঙ্ক এবং আয়রন তাছাড়া হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে এর ভূমিকা অনেক কারণ এতে আছে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট , প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি।
ফ্ল্যাক্স সিড :
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতাকে উন্নত করতে এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। । ২০১৮ সালে ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন দ্বারা প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, শণের বীজেবা ফ্ল্যাক্স সিডে থাকা ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড ইস্ট্রোজেন উৎপাদনের ভারসাম্য বজায় রাখে। কারণ শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা অনুপাতে বেশি হলে মাসিক চক্র স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে না।
চিয়া বীজ :
এতে আছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং জিঙ্ক। নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে তা আপনার মাসিকের সময় যে ধরণের মানসিক পরিবর্তন ঘটে সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। নন-পিসিওএস ব্যক্তিদের তুলনায় পিসিওএসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত মুডের ওঠানামা অনেক বেশি হয়।
তিল বীজ :
তিলের বীজে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ,জিঙ্ক এবং ভিটামিন ই প্রচুর পরিমাণে রয়েছে যা ফার্টিলিটি বাড়াতে ভীষণভাবে সাহায্য করে। এছাড়াও গবেষণা অনুসারে, এই ভিটামিন এবং মিনারেলগুলি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা নিয়ন্ত্রণে প্রোজেস্টেরনের সেক্রেশন বাড়ায়।